নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রেয়াত করা হবে না। লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূমের কোর কমিটির বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ভোটের ফলের উপর দলীয় পদের 'প্রোমোশন-ডিমোশন' নির্ভর করছে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
বুধবার কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিকাশ রায়চৌধুরি, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিনহা, সুদীপ্ত ঘোষ এবং অভিজিৎ সিংহ। আমন্ত্রিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখও। তাঁরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্রের ১৯২ কর্মীও। সেই বৈঠকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের উদ্দেশ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, "কোন ব্লক সভাপতির কী অবস্থা তা আমি কোর কমিটির সদস্যদের বলেছি। প্রকাশ্য়ে বলে লজ্জা দিতে চাই না।"
[আরও পড়ুন: ‘ওদের ৬০ জায়গার নাম বদলে দেওয়া উচিত’, চিনকে যোগ্য জবাব দেওয়ার দাবি হিমন্তর]
কোর কমিটির বৈঠকে অভিষেক বলেন, "যে যে পুরসভা বা পঞ্চায়েতে ভোটের লিড কম থাকবে, সেই এলাকার বুথ সভাপতি, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর তা করা হবে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে। পরের নির্বাচনে তাঁকে আর টিকিট দেওয়া যাবে না। আমি যা বলি, তাই করি। এর আগেও এর প্রমাণ পেয়েছেন।" তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, "প্রোমোশোন যেমন আছে, তেমন ডিমোশনও আছে। কারও পদ বা অবস্থান চিরস্থায়ী নয়।" অভিষেকের কড়া বার্তা, "কোনওরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রেয়াত করা হবে না। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে ভোটের পর শোনা হবে। এখন বুথে-বুথে যান। মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। মানুষই সর্বশক্তিমান।" তিনি আরও জানান, "আমরা একটা জেলা অ্যাপ করেছি। কোনও অসুবিধা হলে তা সেখানে জানাবেন। একইসঙ্গে আইনি সহায়তা অ্যাপও করেছি। কেউ ভয় দেখালে সেখানে জানান।"
প্রসঙ্গত, অনুব্রতহীন বীরভূমের দুই লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। খয়রাশোল, মুরারইয়ে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কোর কমিটির বৈঠকের আগেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসেছিল। সূত্রের খবর, প্রথমে ১৭০ জন সদস্যকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তার মধ্যে জেলা পরিষদের মাত্র একজন কর্মাধক্ষ্য ছিলেন। যা নিয়ে জেলাজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১৯২ জন করা হয়। আমন্ত্রিতদের মধ্যে ৫ জন জেলা পরিষদের সদস্য ছিল।