সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাস্ত্র মতে চৈত্র ‘মল’ মাস। এই সময়ে বিয়ে অশুভ। তবে নির্বাচনের দিন তো আর শাস্ত্র মেনে ঘোষণা হয় না। তাই ‘ক্ষমতা দখলের’ বিয়েতে শাস্ত্র, লগ্নকে কাঁচকলা দেখিয়ে ৬০ বছর বয়সে বিয়ে সারলেন বিহারের বাহুবলী অশোক মাহাতো (Ashok Mahto)। উদ্দেশ্য একটাই, নিজে না পারলেও বউটি যেন সাংসদ হন। বিয়ের পরেই স্ত্রীকে আরজেডি’র (RJD) টিকিট পাইয়ে দিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন অশোক। ১৭ বছর জেল খাটা এই গ্যাংস্টারের সাতপাকে বাঁধা পড়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর শোরগোল শুরু হয়েছে বিহারের রাজনীতিতে।
জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে নওয়াদা জেল ভাঙার মামলায় ১৭ বছর জেল খাটার পর গত বছর ডিসেম্বরে মুক্তি পান অশোক মাহাতো। জেল মুক্তির পরই তাঁর ইচ্ছে হয় যে বিহারের (Bihar) মুঙ্গের লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন। কিন্তু কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জেল খাটায় আগামী ৬ বছর নির্বাচনে লড়তে পারবেন না তিনি। প্রার্থী হলে বাতিল হবে মনোনয়নপত্র।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক কাণ্ড ছত্তিশগড়ের শপিংমলে, বাবার কোল থেকে পড়ে মৃত্যু একরত্তির]
এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতা নিজের কুক্ষিগত রাখতে বিয়ের পরিকল্পনা করেন অশোক। উদ্দেশ্য নিজে না পারলেও বউকে প্রার্থী করা। সেই মতো মঙ্গলবার বিহারের লক্ষ্মীসরাই এলাকার অনিতা দেবী নামে এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অশোক। নির্বাচনে লড়ার জন্যই যে এই বিয়ে সেকথা অকপটে স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। স্ত্রীকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে নিজের কাছের লোকেদের বছর ২৫-এর মধ্যে একটি মেয়ে দেখে দেওযার কথা জানিয়েছিলেন অশোক। এর পর মেয়ে ঠিক হতেই মল মাস, ‘লগ্ন’ ইত্যাদি প্রথাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাতারাতি বিয়ে সারেন গ্যাংস্টার। ওমনি ক্ষমতা দখলের পথও খুলে যায়। জানা গিয়েছে, আরজেডির টিকিটেই মুঙ্গের কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চলেছেন অশোকের স্ত্রী অনিতা।
[আরও পড়ুন: ৫৮ বছরে মা! মুসেওয়ালা পরিবারে সন্তান আসতেই IVF নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
নব্বইয়ের দশকে অশোক মাহাতো এবং অখিলেশ সিং, দুই বাহুবলী গোষ্ঠীর বিপুল দাপট ছিল নওদা, নালন্দা এবং শেখপুরা এলাকায়। তাদের দাপটে তটস্থ থাকত দুশোর বেশি গ্রাম। বহু হত্যার পাশাপাশি জেল ভাঙার অভিযোগও রয়েছে অশোক মাহাতোর বিরুদ্ধে। তবে ১৭ বছর জেল খেটে বেরোনোর পর রাজনৈতিক শক্তিতে বাহুবলী হতে চাইছেন বুদ্ধিমান অশোক। সেই কারণেই রাতারাতি বিয়ে করে বউকে সাংসদ বানাতে কোমর বাঁধছেন।