সম্যক খান, মেদিনীপুর: প্রচারে বেরিয়ে (Lok Sabha Election 2024) প্রতিদ্বন্দ্বী তারকা প্রার্থীকে নজিরবিহীনভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী। বিদায়ী সাংসদ দেবকে ‘মিথ্যেবাদী’, ‘৩০ শতাংশ কাটমানির সাংসদ’ বলে আক্রমণ শানান হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। এমনকী, দাসপুরের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে দেবের শোকজ্ঞাপন নিয়েও আক্রমণ করেন। হিরণের নজিরবিহীন এই আক্রমণে কিছুটা অবাকও হয়ে যান তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি নেতারাও। তাঁরা একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়িও করতে থাকেন।
বুধবার পিংলায় প্রচারে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সামনে পেয়ে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেননি হিরণ। কিছুটা যেন ব্যক্তিগত আক্রোশই ফুটে ওঠে তাঁর বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে। গত দশ বছরে দীপক অধিকারী ওরফে দেব ঘাটাল লোকসভার মানুষের পাশে কতবার এসেছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন অভিনেতা। হিরণের কথায়, “লোকসভায় মাত্র ১১ শতাংশ উপস্থিতি আছে দেবের। ৯০ ভাগ সময় শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ব্রিগেডে প্রার্থী ঘোষণার সময়ও র্যাম্পে হাঁটতে দেখা যায়নি।” দেব কেবলমাত্র ফেসবুক, ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটারে) থাকেন বলেও কটাক্ষ করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, দেব নিজেই বলেছিলেন ট্যাবাগেড়িয়া ব্রিজ না হলে তিনি ভোটে দাঁড়াবেন না। তাঁর সেই প্রতিশ্রুতির কী হল? তিনি তো আবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘টাকা নেই, ভোটে লড়ব কীভাবে’, বলছেন আয়কর হানায় জেরবার কংগ্রেস সভাপতি]
হিরণের দাবি, দাসপুরে ধূপ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনি যখন পিংলার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি কাটছাঁট করে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন, তখন সাংসদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মর্মাহত’ স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। ঘাটালের মানুষ দেবের নাটক ধরে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন হিরণ। তাঁর অভিযোগ, চাকরি চুরির নাম করে ওঁর পিএ যে টাকা তুলেছে সেই অডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। সাংসদের চুপ থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
দেবকে এদিন নজিরবিহীন আক্রমণের ঘটনায় যারপরনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এসেছে প্রতিক্রিয়াও। পিংলার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেছেন, “হিরণ এদিন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সাংসদকে ‘বিলো দ্য বেল্ট’ আক্রমণ করেছেন। হিরণকে এসব নিয়ে না ভাবলেও চলবে।’’ অজিতবাবুর অভিযোগ, খড়গপুরের বিধায়ক হয়ে তো উনি সেখানেই যান না। এখন নতুন করে মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে লাভ কিছু হবে না। বৃহস্পতিবার দেব ঘাটালে আসছেন।’’ সেখানে জনপ্লাবন ঘটবে বলেও দাবি করেন অজিতবাবু।