স্টাফ রিপোর্টার, কাঁথি: কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের উত্তর কাঁথি বিধানসভায় বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিই। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা বিজেপির সঙ্গে ছিলেন লোকসভা ভোটে তাঁদের অনেকেই জোড়াফুল শিবিরে। আবার আদি বিজেপির নেতারাও নব্য বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। তাঁরা কাঁথি নগর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি তথা কাঁথি কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী বিদেশ বসু মাইতির পক্ষে রয়েছেন। ফলে বিজেপির ভোটে দুই দিক থেকে টান পড়তে শুরু করেছে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তরুণকুমার জানা বিজেপি প্রার্থী সুমিতা সিনহার কাছে ৯৩৩০ ভোটে পরাজিত হন। বিধানসভা ভোটে কোন কোন অঞ্চলে তৃণমূলের ব্যবধান কম ছিল, এই ব্যবধান কমার কারণ কী তা ইতিমধ্যেই পর্যালোচনা করে প্রচারে জোর দিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি প্রতিটি অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের পাড়া বৈঠক ও বাড়ি বাড়ি প্রচারের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে নিবিড় সংযোগও শুরু করেছে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর হারের পিছনে ছিল দলের অন্তর্ঘাত। জানা গিয়েছে, সেই অন্তর্ঘাত করতে যাঁরা বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল তাঁরা এবার তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমেছেন। ফলে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ব্যবধান নিয়ে জয়লাভ করেছিল, সেই সংখ্যাকে এবার ছাপিয়ে যাবে তৃণমূলের ব্যবধান। তাই বিজেপির চিন্তা বাড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত ১০০ মহিলার পাশে রাজ্যপাল, শ্লীলতাহানি বিতর্কের মাঝেই অর্থসাহায্যের ঘোষণা]
সূত্রের খবর, কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের আঁউরাই, আমতলিয়া এবং ধোবাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বাম থেকে রামে আসা নেতারাই এখন এলাকার তৃণমূলের হয়ে মাঠে নেমেছে। ফলে বিজেপি থেকে সরে গিয়েছে। এদিকে উত্তর কাঁথি বিধানসভা এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম সিবিআই এর তালিকায় থাকায় গ্রেপ্তারি এড়াতে ইতিমধ্যে অনেকেই ঘরের বাইরে রয়েছেন। তৃণমূলের উত্তর কাঁথি নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান তরুণ কুমার জানা বলেন, “২০২১সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অন্তর্ঘাতের কারণে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছিলাম। এবার সেই সুযোগ হবে না। যাঁরা সেদিন বিজেপির পক্ষে ছিলেন তাঁরা এখন তৃণমূলের সঙ্গে আছেন, প্রচার করছেন। তাই বিজেপির বিধানসভা নির্বাচনের ব্যবধানকে তৃণমূল এবার টপকে যাবে বলে আশা করা যায়।”
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “এটা দিবা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। তৃণমূল উত্তর কাঁথি বিধানসভা এলাকায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কারণ, এই এলাকার মানুষ সব থেকে বেশি তৃণমূলের দ্বারা বঞ্চিত, নির্যাতিত। তাই মানুষ বিজেপির সঙ্গে ছিল, আছে, থাকবে। আমাদের ব্যবধান অনেক বাড়বে।”