সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিকভাবে ‘ব্যবহার’ করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংসের প্রয়াস চালাচ্ছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি (BJP)। কমিশনের দপ্তর যেন বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে! বদলি ইস্যুতে এমনই বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নজরদারিতে হোক ভোট। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে ‘ব্যবহার’ করা নিয়ে ডেরেকের এই অভিযোগ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি, তাতে নষ্ট হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি, এই অভিযোগে বিরোধীরা বরাবরই কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। বিশেষত ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে বিরোধীদের চাপে ফেলার চেষ্টা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থতার মতো হাজারও অভিযোগ রয়েছে। এবার বাংলার শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ আরও মারাত্মক। খোদ জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে দিয়েও বিজেপি ‘নোংরা কৌশল’ নিয়েছে বলে অভিযোগ ডেরেক ও ব্রায়েনের (Derek O Brien)। সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্টে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপি কি আমজনতার মুখোমুখি হতে এতটাই ভয় পাচ্ছে যে নির্বাচন কমিশনকে ঢাল করে বিরোধীদের টার্গেট করতে হবে? তাঁর আরও প্রশ্ন, অফিসারদের বদলি নাকি নির্বাচিত রাজ্য সরকারের? এসবের পরই তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রের দাবি, ২০২৪-এর লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে হোক।
[আরও পড়ু়ন: CAA-তে নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে পুরুষদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষার প্রস্তাব তথাগতর, বিতর্কের ঝড়]
উল্লেখ্য, শনিবার দেশে ভোট ঘোষণার পর সোমবারই নির্বাচন কমিশনের (ECI) তরফে একাধিক রাজ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপি-সহ একাধিক আমলাকে বদলি করার নোটিস জারি করা হয়েছে। কোপ পড়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি, দক্ষ অফিসার রাজীব কুমারের (Rajeev Kumar) উপর। তাঁকে ডিজি পদ থেকে সরিয়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল করা হয়েছে। রাজীব কুমারের বদলে রাজ্যের নতুন ডিজিপি বিবেক সহায়। ভোটের সময়ে তিনিই দায়িত্ব সামলাবেন। আর মঙ্গলবার ডেরেক ও ব্রায়েনের সোশাল মিডিয়া পোস্ট সেই ইস্যুকেই তুলে ধরল।