সুমিত বিশ্বাস: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে ধাক্কা মাও বঙ্গ ব্রিগেডের 'সেফ জোনে'! ঝাড়খণ্ডের যে 'সেফ জোনে' বাংলার মাও ব্রিগেড গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে সেই কোলহান-সারান্ডায় কাজ করা ১৫ মাওবাদী নেতা-নেত্রী একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করলেন। ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম (চাইবাসা) জেলায় মাওবাদী নেতা-নেত্রীদের এই দলগত আত্মসমর্পণকে ভোটের আগে বড়সড় সাফল্য হিসাবে দেখছে ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূমে ভোট হবে চতুর্থ দফায়, আগামী ১৩ মে।
আত্মসমর্পণকারী ১৫ মাওবাদী নেতানেত্রী। নিজস্ব ছবি।
মাওবাদীরা বরাবরই নির্বাচন (Election) বয়কটের পক্ষে। এর জন্য নানাভাবে তাদের প্রচার চলে। ঝাড়খণ্ড ছুঁয়ে থাকা বাংলার জঙ্গলমহলে এক দশকে বিভিন্ন ভোটে তাদের ভোট বয়কট কোনও রকম কার্যকর না হলেও এই আত্মসমর্পণ থেকে মাওবাদীদের বঙ্গ ব্রিগেড সম্বন্ধে একাধিক তথ্য মিলবে বলে রাজ্য পুলিশের আশা। বৃহস্পতিবার যে ১৫ মাও নেতা-নেত্রী আত্মসমর্পণ করেন তারা ঝাড়খণ্ডের কোলহান ও সারেন্ডার বিস্তীর্ণ এলাকায় কাজ করতেন। আর সেখানেই ঝাড়খণ্ড পুলিশ ও সিআরপিএফের (CRPF) ধারাবাহিক সাঁড়াশি অভিযানে এই সাফল্য। ওই ১৫ জনের মধ্যে একজন নাবালিকাও রয়েছে বলে ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পশ্চিম সিংভূম (চাইবাসা)-র পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর বলেন, "ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী মোকাবিলায় একসঙ্গে ১৫ জন মাও নেতা- নেত্রীর আত্মসমর্পণকে বড়সড় সাফল্য হিসাবেই দেখছি। সমর্পণকারী মাওবাদী নেতা-নেত্রীদের কাছ থেকে বর্তমানে সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনে বেশ কিছু তথ্য হাতে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।"
[আরও পড়ুন: ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান, ভারতীয়দের কী বার্তা বিদেশমন্ত্রকের?]
এই আত্মসমর্পণকারী ১৫ জন মাওবাদী (Maoist) নেতা-নেত্রী ইস্টার্ন রিজওনাল ব্যুরোর দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিসির বেসরা ওরফে সাগর জি, পতিরাম মাঝি ওরফে অনল দা স্কোয়াডের সক্রিয় সদস্য। এরা কোলহান তথা সারেন্ডার বিস্তীর্ণ জঙ্গলে কাজ করতো। এই স্কোয়াডেই রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাও বঙ্গ বিগ্রেডের ( স্টেট ওয়ান কমিটি) অন্যতম দায়িত্বে থাকা অসীম মন্ডল ওরফে আকাশ। ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কোয়াডে রয়েছে সুশান্ত ওরফে আনমোল, মেহনত ওরফে মেছু, অজয় মেহতা ওরফে বুধরাম, পিন্টু লোহেরা।
[আরও পড়ুন: রাজনীতিতেও কঙ্গনার প্রতিপক্ষ ‘নেপো কিড’! ‘বাপ-ঠাকুরদার সম্পত্তি নাকি?’ ফুঁসছেন পদ্মপ্রার্থী]
আত্মসমর্পণকারীদের সকলের বাড়ি পশ্চিম সিংভূমেই। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতা-নেত্রী হলেন প্রধান কোড়া ওরফে দেবেন কোড়া। ৪৫ বছরের এই মাও নেতার মোট আটটি মামলা রয়েছে। এছাড়া ২৯ বছরের চন্দ্রমোহন ওরফে চন্দ্রি অঙ্গারিয়া ওরফে রোশনের মামলা আছে সাতটি।