সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'দিদি নম্বর ১'-এর ফ্লোর থেকে সোজা রাজনীতির ময়দানে। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। ব্যক্তিগত জীবনে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন রচনা। নিজেকে 'নট হ্যাপিলি ম্যারেড' বলেন তিনি। তবুও কেন ডিভোর্সের পথে হাঁটেননি? এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।
কেরিয়ারের শুরু বাংলায় হলেও রচনা অনেকটা সময় পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কাটিয়েছেন। 'সূর্যবংশম' সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। তামিল, তেলুগু, কন্নড়ের পাশাপাশি চুটিয়ে ওড়িয়া সিনেমায় কাজ করেছেন। ওড়িয়া সিনেমার সুপারস্টার সিদ্ধান্ত মহাপাত্রকে (যিনি এই লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন) মন দিয়েছিলেন রচনা। ২০০৪ সালে বিয়ে নাকি হয়েছিল দুজনের। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
[আরও পড়ুন: বৈশাখের দহনজ্বালার সঙ্গে দোসর ভোট, জোড়া ফলায় বিদ্ধ পুরুলিয়ার পর্যটন]
এর পর প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন রচনা। ছেলে রৌণকের জন্ম হয়। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও থাকেন না 'দিদি নম্বর ১'। তাহলে বিচ্ছেদের পথে কেন হাঁটলেন না? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ঘাসফুল শিবিরের তারকা প্রার্থী নিজেই জানিয়েছিলেন কারণ। বলেছিলেন, "আমি ম্যারেড। নট হ্যাপিলি ম্যারেড। ডিভোর্স হয়নি। আমি আমার ছেলের জন্য ডিভোর্সি হইনি। আমি কখনও চাইনি যে আমার ছেলেকে এই ট্যাগটা দেওয়া হোক যে 'আমার বাবা-মা ডিভোর্সড।' আমি চাইনি আমার ছেলে সেটা ফেস করুক। আমার ছেলে বড় হচ্ছে। তার বন্ধু-বান্ধব হচ্ছে। তাঁকে তো শুনতে হবে কথা! এটা আমার ও আমার স্বামীর যৌথভাবে নেওয়া সিদ্ধান্ত যে আমরা বন্ধু হিসেবে থাকব।"
ছবি: ফেসবুক
বাংলা টেলিভিশনের 'দিদি' জানান, তিনি ও প্রবাল বসু একসঙ্গে না থাকলেও বন্ধু। ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে বেড়াতে যান। রেস্তরাঁয় গিয়ে একসঙ্গে খাবার খান। রৌণকের যখন পরীক্ষা থাকে প্রবালবাবু এসে তাঁকে পড়ান। তাঁর সঙ্গে সময় কাটান। তিনজন একসঙ্গে থাকলে খুবই হাসিমজা হয়। কিন্তু তার পর যে যাঁর বাড়িতে চলে যান। এভাবেই জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়েছেন বাংলার 'দিদি নম্বর ১'।