সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উনিশের লোকসভা ভোট হোক কিংবা একুশের বিধানসভা নির্বাচন, উত্তরবঙ্গ বরাবর হতাশ করেছে রাজ্যের শাসকদলকে। কিন্তু চব্বিশের ভোটে সেই হতাশা কাটিয়ে উত্তরের মাটিতে ঘাসফুলে ফুটিয়ে তুলতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই কারণে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে ঘুরে ঘুরে নির্বাচনী প্রচার করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। ওইদিন প্রথম দফায় ভোট হয়েছে রাজ্যের তিন কেন্দ্রে। আগামী ২৬ তারিখ দ্বিতীয় দফা শামিল হবেন দার্জিলিং-সহ তিন কেন্দ্রের ভোটাররা। তার আগে দার্জিলিং (Darjeeling) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির গোঁসাইপুরে, উত্তরা টাউনশিপ ময়দানের নির্বাচনী সভা থেকে ফের বিজেপি বিরোধী বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপিকে ফের জেতালে কী কী বিপদ আসতে পারে। বোঝালেন 'এক দেশ এক ভোট'-এর মতো নীতির প্রভাব কতটা জনবিরোধী। তাঁর কথায়, ''বিজেপির হাত শক্ত করলে ২৬ তারিখই হবে আপনাদের জীবনের শেষ ভোট।'' তুললেন নতুন স্লোগান, 'অনেক হয়েছে শাসন, ২৬ তারিখ বিসর্জন'।
[আরও পড়ুন: ‘১৫ লাখ না দিলে চাকরি পাবেন কীভাবে?’ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাহের নিশানায় মমতা]
দার্জিলিং আসনটি একটিবারের জন্যও তৃণমূলের দখলে আসেনি। এবার সেই গ্লানি ঘোচাতে অভিষেক তুলে ধরলেন পাহাড়বাসীর বঞ্চনার কথা। সরাসরি নাম করেই আক্রমণ করলেন বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তাকে (Raju Bista)। তাঁর কটাক্ষ, ''গত ৫ বছরে কী কাজ করেছেন? দিল্লির তল্পিবাহকতা করে আপনাদের সকলের আবাসের টাকা বন্ধ দিয়েছেন রাজু বিস্তা। আবার কি তাঁকে জেতাবেন? আমি বলছি, ভোটের সময়ে তাঁরা এখানে পরিযায়ী হয়ে আসেন। যতবার দিল্লির যত নেতা এখানে প্রচার করতে আসবেন, ততবার ৫ হাজার করে ভোট কমবে।'' এর পর জনতার উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, মনে রাখবেন, বিজেপির হাত শক্ত করলে ২৬ তারিখই হবে আপনাদের জীবনের শেষ ভোট। কারণ, ওদের সংকল্পপত্রে রয়েছে এক দেশ এক ভোটের কথা। অর্থাৎ এই যে আপনারা লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা ভোট দেন ৫ বছর পর পর, তা আর দিতে পারবেন না। একবারই ভোট দেবেন।''
[আরও পড়ুন: কলকাতায় রাজারাম রেগের ৫ লিঙ্কম্যান! নিউ মার্কেটের হোটেলে বসেই যোগাযোগ, তদন্তে পুলিশ]
দার্জিলিংয়ের তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন মহকুমাশাসক (SDO) গোপাল লামা। অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থী রাজু বিস্তা। দুজনের তুলনা করে অভিষেকের দাবি, ''বলুন ভূমিপুত্র গোপাল লামা নাকি বহিরাগত রাজু বিস্তা কাকে জেতাবেন? আগামী ২৬ তারিখ যদি গোপাল লামাকে ভোট দিয়ে, সমর্থন দিয়ে জেতান, তাহলে দার্জিলিংবাসীর আবাসের টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। প্রথম দফার কিস্তির টাকা রাজ্য় সরকার ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।'' তবে অভিষেকের এই ভোকাল টনিকে এবার কি দার্জিলিংয়ে ঘাসফুল ফুটবে? তা স্পষ্ট হবে ৪ জুন।