সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের ঠিক আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে উত্তরবঙ্গের তিন জেলা। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার - এই তিন জেলাতেই প্রথম দফা অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল ভোট। আর সেই কারণেই গত ৩১ মার্চ সন্ধের ঝড় তছনছ হওয়ার পর মাঝরাতেই ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রাত জেগে উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছিলেন। আর দুর্যোগের সাতদিন পর, রবিবার জলপাইগুড়িতে সভা করতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। কিন্তু প্রচারসভায় তিনি দুর্যোগ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। সোমবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে সেই ইস্যুতে মোদির মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাটিতে দাঁড়িয়ে একবারও সাহায্যের কথা বললেন না কেন?
বাঁকুড়ার রায়পুরে দলীয় প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সোশাল মিডিয়া।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Polls) প্রচারে জেলায় জেলায় ঘুরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বাঁকুড়ার (Bankura) রায়পুরের সবুজ সংঘের মাঠে তিনি দলীয় প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে জনসভা করেন। সেখান থেকেই মমতা বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী রবিবার জলপাইগুড়িতে সভা করলেন। তা নিয়ে কিছু বলার নেই। আপনি ব্লকে ব্লকে সভা করুন। এটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু জলপাইগুড়িতে দাঁড়িয়ে আপনি একবারও সাহায্যের কথা বললেন না? যাঁদের ঘরবাড়ি চলে গিয়েছে, যাঁদের বাচ্চারা মারা গিয়েছে, যাঁরা এখনও লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য কিছুই বললেন না! আমি তো মাঝরাতে ছুটে গিয়েছি, তদারকি করেছি।''
[আরও পড়ুন: শাড়ি পরেই মারকাটারি অ্যাকশন, রোমহর্ষক ‘পুষ্পা দ্য রুল’-এর টিজারে দুরন্ত আল্লু অর্জুন]
তৃণমূল (TMC) নেত্রীর আরও দাবি, ''ঘরহারাদের বাড়ি তৈরি করে দেব আমরা। কেন্দ্রের টাকা চাই না। আমরাই ৫০০০ বাড়ি নিজেদের খরচে বানাব। তার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়ে রেখেছি সেই সাতদিন আগে। এখনও অনুমতি পাইনি। নির্বাচন আছে বলে অপেক্ষা করছি। নইলে এক সেকেন্ডে সব করে দিতাম।'' প্রসঙ্গত, নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকলেও বিপর্যয়ের সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি সাহায্য়ের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে যত দ্রুত সম্ভব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি বিপর্যয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি দেরি করছে। এবারও সেই অভিযোগ তুললেন।