সুমন করাতি, হুগলি: দলে কি ক্রমেই কোণঠাসা কাঞ্চন মল্লিক? বৃহস্পতিবার তাঁকে প্রচার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন শ্রীরামপুরের দলীয় প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময়ও কল্যাণের সঙ্গে দেখা গেল না উত্তরপাড়ার বিধায়ককে। বরং, উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা গত বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষালকে সঙ্গে নিয়েই মনোনয়ন জমা দিতে গেলেন কল্যাণ। আর তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর চর্চা।
শুক্রবার বিশাল মিছিল করে উত্তরপাড়া থেকে মনোনয়ন জমা দিতে চুঁচুড়া রওনা দেন শ্রীরামপুরে তৃণমূলের প্রার্থী। উত্তরপাড়ার বালি খাল থেকে শুরু হয় মেগা র্যালি। সেখান থেকে কোন্নগর শকুন্তলা কালীমন্দিরে পুজো দেন বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ। আগাগোড়া সঙ্গে ছিলেন তাঁর সতীর্থ ও উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপির বিধানসভার পরাজিত প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর শুক্রবার কল্যাণের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বেও দেখা যায়নি উত্তরপাড়ার বর্তমান বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে। লোকসভা ভোটের প্রচার যখন তুঙ্গে, তখন কাঞ্চনকে প্রথমে প্রচারের ফাঁকে জিপ থেকে নামিয়ে দেওয়া এবং আজকের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছে অনেকের।
[আরও পড়ুন: কাঞ্চনের মতোই হাল আপনার সঙ্গেও হতে পারে! রচনার ছবি দিয়ে এবার পোস্টার হুগলিতে]
প্রবীর ঘোষাল বলেন, "কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। শুধু বন্ধু নন, তিনি একজন আদর্শ জনপ্রতিনিধি। ভোটে জিতে অনেক জনপ্রতিনিধিকেই আর ময়দানে দেখা যায় না। তার বিপরীত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন নেই রাত নেই, সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন।" উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক এই কারণেই তাঁকে আদর্শ জনপ্রতিনিধি বা আদর্শ সাংসদ হিসেবে মনে করেন বলেই মত। উল্লেখ্য, তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হওয়ার পরও পরবর্তী সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীর। এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয়নি তাঁর। তা সত্ত্বেও বর্তমানে তিনি কল্যাণ 'ঘনিষ্ঠ' বলেই পরিচিত। সেই প্রবীরকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন।