ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে ৪২ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ‘বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’ দিতে জোরকদমে প্রচারে নামতে চলেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। মঙ্গলে ‘তফসিলির সংলাপ’ কর্মসূচি ঘোষণার পর, বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের নয়া প্রচারাভিযান ‘বাংলার অধিকার যাত্রা।’
চমকে ভরা তৃণমূলের প্রচার কর্মসূচি ‘বাংলার অধিকার যাত্রা’র মূল লক্ষ্য হল, ‘জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’। সেই লক্ষ্যে তৃণমূলের ৪২ জন প্রার্থী নিজ নিজ লোকসভা কেন্দ্রে ১০ দিন টানা প্রচার চালাবেন। যেখানে তাঁরা বৈঠক করবেন জেলা নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে। একটি করে কর্মী সম্মেলন এবং প্রথম দিনে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। দলের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৭ থেকে ১০ দিন প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রজুড়ে জনসভা, বৈঠক, মিছিল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির দরজায় দরজায় ঘুরে প্রচার করবেন। বুধবার এই প্রচার কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ঘাটাল, মেদিনীপুর, তমলুক, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং মালদা উত্তর ও দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে।
[আরও পড়ুন: ভোটে তৃণমূলের নয়া অস্ত্র CAA, তফসিলিদের বোঝাতে নতুন কর্মসূচি চালু অভিষেকের]
প্রচারের অংশ হিসেবে তৃণমূলের তরফে দলের প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বঞ্চিত ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক, আবাস যোজনার উপভোক্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রার্থীরা। কেন্দ্রের মোদি সরকার যে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছে এবং তৃণমূল কংগ্রেস সেই মানুষের অধিকারের জন্যই লড়ছে, সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। এছাড়াও ব্রিগেড মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে ‘জমিদার বিসর্জন’-এর ডাক দিয়েছিলেন, সেই সুর যাতে প্রার্থীদের গলাতেও প্রতিধ্বনিত হয় নয়া প্রচার কর্মসূচিতে, সেটাই লক্ষ্য তৃণমূলের।
[আরও পড়ুন: CAA চালু হতেই শুভেন্দুর মুখে মতুয়াদের ‘হরি বোল’, ধরনার হুঁশিয়ারি মমতাবালার]
এর পাশাপাশি কেন্দ্রের সিএএ-এর বিরোধিতায় মঙ্গলবার নয়া প্রচার কর্মসূচি শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। তফসিলি জাতি-উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার মানুষকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ‘বিপদ’ বোঝাতে শুরু হচ্ছে নয়া প্রচার কর্মসূচি ‘তফসিলি সংলাপ’। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা এলাকা থেকে ১৫ জন করে তফসিলি জাতি-উপজাতিভুক্ত ব্লক নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে দিকনির্দেশ ঠিক করে দেন অভিষেক। যার মূল লক্ষ্য, তফসিলি অধ্যুষিত এলাকায় CAA নিয়ে লাগাতার বিজেপি বিরোধী প্রচার।