সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “লোকসভার প্রার্থী হিসেবে অভিনেত্রী বা অভিনেতা না, সৎ ও শিক্ষিত মানুষ চাই”, গত নভেম্বর মাসেই নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) বিরুদ্ধে গোটা বসিরহাট ছেয়ে গিয়েছিল পোস্টারে। আর সেই এলাকার মানুষদের মনোবাসনাই যেন পূর্ণ করলেন তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার (Lok Sabha Polls 2024) প্রার্থীতালিকায় তারকামুখের থেকে পোক্ত রাজনীতিক হাজিনূরুল ইসলামের উপরই ভরসা রাখলেন তিনি। যিনি এর আগে বসিরহাটের বিধায়ক ছিলেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন নুসরত। রাজনীতির মঞ্চে গ্ল্যামার গার্ল হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তবে গত পাঁচ বছরে বারংবার তাঁর কেন্দ্রে জমা বিতর্কের আগুনে নুরসতের ‘ঠান্ডা’ পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনায় জড়ান নুসরত। এমনকী, নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেশখালি ইস্যুতেও তারকা বিধায়ককে সেভাবে পাশে পাননি তাঁর সেখানকার মানুষ। উলটে সংবাদ মাধ্যমের হাত ধরে শুধু ‘গা বাঁচানো’ অডিও বার্তাই দিয়ে কর্তব্য সেরেছিলেন নুসরত। বার বার রাজনীতিতে নুসরতের এমন ‘দুর্বল অংশগ্রহণে’ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ জমেছিল সাধারণের মনে। সেই আভাস হয়তো পেয়েছেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। তাই এবারের লোকসভায় নুসরতের উপর আস্থা হারাচ্ছে তৃণমূল সরকার।
[আরও পড়ুন: মিমিতে আস্থা নেই মমতার! কোন অঙ্কে বাদ তারকা?]
রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, শুধু রাজনীতির আঙিনা নয়, নুসরতের ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিতর্কও হয়তো এ ক্ষেত্রে নেগেটিভ কাজ করেছে। বিশেষ করে নিখিল জৈনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ, যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে নুসরতের সম্পর্ক, বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ না হয়েই সন্তানের জন্ম, সব বিতর্কই হয়তো এ ব্যাপারে নুসরতের বিপরীতে কাজ করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।