সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার মতোই লন্ডনেও এখন পুজো পুজো গন্ধ। টেমস নদীর তীরে ক্যামেডেনের মাটিতে দশভুজার আরাধনায় প্রতিবারের মতোই মেতে উঠবেন ভক্তেরা। এখন প্রস্তুতি নিয়ে বেজয়া ব্যস্ত প্রবাসী উদ্যোক্তারা। দেখতে দেখতে ছয় দশক ডিঙিয়ে ‘সুইস স্কটিস লাইব্রেরির’ অলিন্দে এবছর একষট্টিতম দুর্গোৎসব। অতএব, লন্ডনের দুর্গাপুজোর ইতিহাসে ক্যামডেনের দশভুজার আরাধনাকে অন্যতম প্রাচীন আয়োজন বললে ভুল হয় না। যার অন্যতম অংশ শিল্পীপতি লক্ষ্মী মিত্তল এবং তাঁর পরিবার। এবার যেখানে অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।
ক্যামেডেন দুর্গাপুজো বিশ্বের একাধিক মিডিয়ার নজর টানে প্রতিবার। অন্যতম কারণ মিত্তল পরিবারের সদস্যরা সপরিবারে হাজির থাকেন পুজোয়। শিল্পপতি পরিবারটি ক্যামডেন দুর্গোৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তাও বটে। এছাড়া প্রত্যেক দিন সন্ধ্যায় থাকে নানা স্বাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে অনুষ্ঠান করেন বিশিষ্ট শিল্পীরা। এবারও যার অন্যথা হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা, এবারে ষষ্টী সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান করবেন নৃত্যশিল্পী সৌরভজায়া ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। পরিবেশিত হবে মহিষাসুরমর্দিনী। নির্দেশন ডাঃ আনন্দ গুপ্ত। নৃত্য নির্দেশনা ডোনা গঙ্গোপাধ্য়ায়। লন্ডনে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের যাবতীয় আয়োজনের যিনি কাণ্ডারী, তিনি এই ক্যামডেন দুর্গোৎসব কমিটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনন্দ গুপ্ত। তিনি সঙ্গীতশিল্পী, সংস্কৃতবান ব্যক্তিত্বও। উল্লেখ্য, ক্যামেডেন দুর্গোৎসব প্রতিবারের মতোই থাকছে ছোটদের 'প্রতিভা অন্বেষণ' এবং সুন্দরী প্রতিযোগিতা। পুজোর চারদিনই বিতরণ করা হবে ভোগপ্রসাদ।
ডাঃ গুপ্ত বলেন, "দুর্গাপুজো মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর বিজয়কে চিহ্নিত করার এক উদযাপন। ক্যামডেনে আমরা ব্রিটেনের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরি এবং গর্বিত বোধ করি।" সবমিলিয়ে এবারেও নির্ভেজাল পুজোর আনন্দে মেতে উঠবেন টেমসপাড়ের বাঙালিরা। জমজমাট হয়ে উঠবে বিলেতের মায়ের আরাধনা। টেমসের তীরে পুজো পুজো গন্ধ!