সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা চার ব্যাটারের মধ্যে অন্যতম তিনি। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে অধিনায়কত্ব করেছেন। ব্যাট হাতে নেমে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন। গ্যাবা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে দুরমুশ করে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চোদ্দো বছর কাটিয়ে ফেলার পরে তাঁর মনে হচ্ছে, আসলে তিনি বড্ড একা। একঘর লোকের মধ্যে থাকলেও একাকিত্বে ভুগেছেন তিনি।
২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। বিশেষ দিন উপলক্ষে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। তারপরেই একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “একঘর লোক যারা আমাকে ভালোবাসে, তাদের মধ্যে থেকেও নিজেকে খুব একা বলে মনে হয়েছে। আমার মনে হয় অনেকেই এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এহেন পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে বেশিরভাগ মানুষই নিজেকে খুব শক্ত রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সময় আসলে ভিতর থেকে ভেঙে পড়ে মানুষ।”
[আরও পড়ুন: পাত্তাই পেল না বাংলাদেশকে নাকানিচোবানি খাওয়ানো জিম্বাবোয়ে, প্রথম ম্যাচে হাসতে হাসতে জয় ভারতের]
এহেন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিশ্রাম নেওয়া দরকার বলে মনে করেন বিরাট কোহলি। তিনি বলেছেন, “একজন খেলোয়াড় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে, তার উচিত সমস্ত কাজকর্ম থেকে বিশ্রাম নেওয়া। নিজের অন্তরাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই যোগসূত্র যদি ভেঙে যায়, তাহলে খেলোয়াড়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সমস্ত কিছুই নষ্ট হয়ে যাবে।”
২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর কোহলির জীবনের অন্ধকারতম অধ্যায় বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সেই সময় ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন বলেও জানিয়েছেন বিরাট। সাম্প্রতিককালেও খারাপ ফর্মের সমস্যায় জর্জরিত কোহলি। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ঘুম থেকে উঠে যদি মনে হয় আজ আমি রান করতে পারব না, তাহলে খুব খারাপ লাগে। সেইসময় মনে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে একা যদি কেউ থেকে থাকে, তাহলে সেটা আমি।” প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকটি সিরিজেই টানা বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিরাটকে। খারাপ ফর্ম কাটিয়ে রানে ফিরবেন, এমনটাই আশা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আপাতত এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিরাট।