দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আমফান (Amphan) -এর তাণ্ডবের ফলে ক্ষতি হয়েছে বহু ঐতিহাসিক বাড়ির। শুধু ক্ষতি হয়েছে এমন নয়, রীতিমতো ভেঙে পড়েছে ওই সব হেরিটেজ বাড়ির বিভিন্ন অংশ। ক্ষতিগ্রস্ত অংশের কাজ কবে শুরু হবে তা বলতে পারছেন না কেউই।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক বাড়ি রয়েছে। যার অন্যতম হল লর্ড ক্যানিংয়ের বাড়ি এবং গোসাবাতে অবস্থিত রবীন্দ্রস্মৃতি বিজড়িত বেকন বাংলো। ঝড়ের কারণে ক্ষতি হয়েছে এই সমস্ত বাড়িরই। প্রতিটি বাড়ির বয়স ১৫০ বছরের বেশি। এই সমস্ত বাড়িগুলি এর আগেও সরকারের তরফ থেকে মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণি ঝড়ের তাণ্ডবে তা ফের ভেঙে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণেশ্বরের পর খুলছে বেলুড় মঠও, মানতে হবে কড়া নিয়ম]
১৯৩২ সালে যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুন্দরবনে এসেছিলেন তখনই গোসাবার বেকন বাংলোটি তৈরি করা হয়েছিল। শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথের থাকার জন্যই এই বাংলোটি বানিয়েছিলেন তৎকালীন সুন্দরবনের বড়লাট হ্যামিলটন। এমনিতেই বাড়িটার বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বুলবুল ঝড়ে। চলছিল মেরামতের কাজ। এবার ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে পড়ল ক্ষতিগ্রস্ত সেই বাড়ির একাংশ।
অন্যদিকে লর্ড ক্যানিংয়ের পোর্ট কোম্পানির সুন্দরবনের ব্যবসা ও বাণিজ্য সামলানোর জন্যই একটি বাড়ি নির্মাণ করা হয়। যে বাড়িটি এখন স্থানীয় এলাকায় পোর্ট ক্যানিংয়ের বাড়ি নামে খ্যাত। বিরাট সুউচ্চ বাড়িটি কয়েক মাস আগে সরকারের তরফ থেকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যদিও তারপর থেকে বাড়িটিতে কোনও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়নি। আর রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার কারণেই এই বাড়িটির একটি অংশ ঝড়ের তাণ্ডবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
এবিষয়ে ক্যানিংয়ের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘আমফান ঝড়ের জেরে হেরিটেজ বাড়ির যে অংশগুলি ভেঙে পড়েছে তা সম্পর্কে হেরিটেজ দপ্তরকে পুরো বিষয়টা জানিয়েছি। এই জেলার হেরিটেজ কমিটির চেয়ারম্যান জেলাশাসককেও জানানো হয়েছে বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি মেরামতের জন্য। তবে কবে হবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’
[আরও পড়ুন: জোর করে ভুল বয়ানে সই করিয়েছে, রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মৃত শিশুর বাবার]
The post আমফানের জের, ধ্বংসের মুখে রবীন্দ্রনাথ ও লর্ড ক্যানিংয়ের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি appeared first on Sangbad Pratidin.