shono
Advertisement

প্রাপ্য টাকা না পেলে বিশ্বে খরা সৃষ্টি করব! অফিস কর্তৃপক্ষকে হুমকি ‘বিষ্ণুর কল্কি অবতারে’র

গুজরাটের জলসম্পদ বিভাগের আধিকারিকের কীর্তিতে তাজ্জব সকলেই।
Posted: 01:22 PM Jul 05, 2021Updated: 04:33 PM Jul 05, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশটা-পাঁচটার অফিস তো করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু ভগবান বিষ্ণুর ((Kalki Avatar Of Lord Vishnu) কল্কি অবতার কি অফিস করেন? এই যুক্তি দেখিয়েই মাসের পর মাস অফিসে অনুপস্থিত থেকেছেন গুজরাটের বাসিন্দা রমেশ চন্দ্র ফেফার। মেয়াদের আগেই নিয়েছেন অবসর। এবার অবশ্য তাঁর দাবি অন্যরকম। গ্র্যাচুইটির টাকা না দিলে গোটা বিশ্বে খরা সৃষ্টি করবেন বলে হুমকি ‘বিষ্ণুর কল্কি অবতার’ রমেশের।

Advertisement

গুজরাটের জলসম্পদ বিভাগের সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কাজ করেন রমেশচন্দ্র ফেফার (Rameshchandra Fefar)। ২০১৮ সালে ছ’মাসে কেবলমাত্র আঠারো দিন অফিসে যান। শোকজ নোটিসও করা হয় তাঁকে। রমেশ সাফ জানিয়ে দেন, তিনি ভগবান বিষ্ণুর অবতার। গোটা বিশ্বে বৃষ্টি আনেন তিনি। এ এক বিরাট দায়িত্ব। তাই তাঁর পক্ষে সবসময় অফিসে আসা সম্ভব নয়। পরে অফিসের চাপে অবসর গ্রহণ করেন রমেশ। তাঁর দাবি, গ্র্যাচুইটি এবং বেতন মিলিয়ে মোট ৩২ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। অবসর নেওয়ার পর থেকে ওই বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন ওই ব্যক্তি।

[আরও পড়ুন: ছেলের প্রাক্তন স্ত্রীকে বিয়ে বাবার, সৎ মাকে দেখে চোখ কপালে উঠল যুবকের]

তবে এখনও পর্যন্ত সে টাকা পাননি রমেশ। বাধ্য হয়ে জলসম্পদ বিভাগের প্রধান আধিকারিককে চিঠি লিখেছেন তিনি। হেনস্তা করতেই টাকা আটকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ভাল বৃষ্টিপাতের জন্য দেশ ২০ লক্ষ কোটি টাকা লাভ করেছে বলেও দাবি রমেশের। তাঁর চিঠির পরবর্তী অংশ দেখে অবশ্য আধিকারিক খানিকটা হতভম্ব হয়ে যান। কারণ, রমেশ নিজেকে ফের বিষ্ণুর কল্কি অবতার বলে দাবি করে গোটা বিশ্বে খরা (Drought) সৃষ্টির হুমকি দেন। কাজ না করেই রমেশ বেতন দাবি করছেন বলেই জানান জলসম্পদ বিভাগের আধিকারিক।

[আরও পড়ুন: ‘মায়াবন বিহারিণী হরিণী’র সুরে মজে আফ্রিকান গায়ক! ভাইরাল তাঁর রবীন্দ্রসংগীতের ভিডিও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার