সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে (Kashmir) কি ফের যুদ্ধ বাঁধবে? চিন নাকি পাকিস্তান, কার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সাক্ষী থাকবে ভূস্বর্গ? জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের নয়া নির্দেশিকায় তেমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কী রয়েছে সেই নির্দেশিকায়? বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের জন্য রান্নার গ্যাস (LPG) বা এলপিজি সিলিন্ডার মজুত করতে। তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকেও কাশ্মীরের গুদামে আগামী দুমাসের জন্য পর্যাপ্ত এলপিজি সিলিন্ডার মজুত করতে বলা হয়েছে। এই সময় জাতীয় সড়কে ধস নামতে পারে। তাতেই এই পরিষেবা বেহাল হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা এই নির্দেশিকায় সিদুঁরে মেঘ দেখছেন।
সূত্রের খবর, আরও গান্ডারওয়াল পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে একটি নির্দেশনামা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কার্গিল সীমান্তের গান্ডারওয়াল এলাকায় ১৬টি স্কুল-কলেজ নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহারের জন্য খালি করতে হবে। এর ফলে ভারত-চীন যুদ্ধের আতঙ্কে ভুগছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সরকারের তরফে ভিন্ন কারণ জানানো হলেও, অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই কাশ্মীরবাসী বড় ধরনের সংঘাতের প্রমাদ গুনছেন।
[আরও পড়ুন : ভাগ্যের পরিহাস! সড়ক নির্মাণ মন্ত্রীর বাড়িতেই ঢুকল বর্ষার জল, হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]
গত ২৩ জুন কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল প্রশাসক জি.সি. মুর্মু’র অফিস থেকে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এসব নির্দেশ পালনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভূমিধ্বসের কারণে জাতীয় সড়কে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হতে পারে। তাই কাশ্মীর উপত্যকায় আগামী দুমাসের জন্য এলপিজি গ্যাস পর্যাপ্ত মজুত রাখতে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম গ্রীষ্মের মাঝামাঝি স্থানীয় প্রশাসন এলপিজি গ্যাস মজুত বৃদ্ধির নির্দেশ দিল। সাধারণত, অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে তীব্র শীতকালে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার নজির রয়েছে। তুষারপাতের কারণে সড়কে পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই ওই ঋতুতে মজুতের পরিমাণ বাড়ানো হয়। তাই কাশ্মীরিদের ভীতি একেবারেরই অমূলক বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন : ভাগ্যের পরিহাস! সড়ক নির্মাণ মন্ত্রীর বাড়িতেই ঢুকল বর্ষার জল, হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]
The post অন্তত দু’মাসের রান্নার গ্যাস মজুতের নির্দেশিকা কাশ্মীরে, যুদ্ধ কি আসন্ন? appeared first on Sangbad Pratidin.