চেন্নাই সুপার কিংস: ১৭৬/৬ (জাদেজা ৫৭, ধোনি ২৮, ক্রুনাল ১৬/২)
লখনউ সুপার জায়ান্টস : ১৮০/২ (রাহুল ৮২, ডি কক ৫৪, পাথিরানা ২৯/১)
৮ উইকেটে জয়ী লখনউ সুপার জায়ান্টস।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচ হচ্ছে লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামের। ঘরের দলের নাম লখনউ সুপার জায়ান্টস (Lucknow Super Giants)। কিন্তু দেখে মনে হবে এ যেন চেন্নাইয়ের (Chennai Super Kings) চিপক স্টেডিয়াম। গোটা মাঠ জুড়ে শুধুই হলুদ পতাকা আর জার্সি। কারণ একটাই, মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। তাঁকে নিয়েই তো যত উন্মাদনা। ম্যাচটা যে লখনউ বনাম চেন্নাই, সেটাই ভুলে যেতে হয়। মাহিও কাউকে ফেরালেন না। ৯ বলে অপরাজিত ২৮ রান তুলে বুঝিয়ে দিলেন 'ফিনিশার' এখনও 'ফিনিশ' হয়ে যাননি। যদিও রাহুল (KL Rahul) আর ডি ককের যুগলবন্দিতে চেন্নাই শেষ পর্যন্ত হারল ৮ উইকেটে।
টসে জিতে এদিন প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুল। দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন মোহসিন খান। রাচিন রবীন্দ্রকে (০) বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি। চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (১৭) এখনও আইপিএলে নিজের ফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছেন। খুব দ্রুত ফিরে গেলেন তিনিও। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অজিঙ্ক রাহানে (৩৬)। এদিন অনেকটা উপরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজাকে (৫৭)। ব্যাট হাতে তিনিই চেন্নাইয়ের বড় রানের ভিত তৈরি করে দিয়ে গেলেন। সেই তুলনায় শিবম দুবে ফিরলেন মাত্র ৩ রান করে। যা তাঁর সাম্প্রতিক ফর্মের সঙ্গে একেবারেই মেলে না। সুযোগ পেয়ে মইন আলিও (৩০) নিজেকে প্রমাণ করে দিয়ে গেলেন। কিন্তু আসল ম্যাজিক বাকি ছিল তখনও। যাঁর জন্য অপেক্ষা করে বসেছিল লখনউ সমর্থকরা। শুধুই তাঁরাই নন, সেই পুরনো মাহিকে দেখার জন্য অপেক্ষা করে ছিল সমস্ত ক্রিকেট ভক্তরা। মাত্র ৯ বলে তাঁর ২৮ রানের ইনিংস দেখে চক্ষু সার্থক বলাই যায়। মারলেন ৩টে চার, ২টো ছয়। চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ড পৌঁছল ১৭৬ রানে।
[আরও পড়ুন: দুবাইয়ের প্রবল বৃষ্টিতে বন্দি, অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারে নামা হল না দুই ভারতীয় কুস্তিগিরের]
কিন্তু বোলাররা সেই ভরসা জায়গা জোগাতে পারলেন কোথায়? দীপক চাহার, তুষার দেশপাণ্ডে, মুস্তাফিজুররা না পারলেন উইকেট তুলতে, না রানের গতি আটকাতে। লখনউয়ের দুই ওপেনার কেএল রাহুল আর ডি ককের সামনে কোনও ভাবেই দাঁড়াতে পারলেন না তারা। মাঠের সব দিকে চার-ছয় মেরে স্কোরবোর্ড সচল রাখলেন দুই লখনউ তারকা। তাঁদের প্রথম উইকেট পড়ল ১৩৪ রানে। ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ডি কক ৫৪ রানে ফিরে গেলেও রাহুলকে ফেরানো প্রায় অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। পাথিরানার বলে যখন ব্যক্তিগত ৮২ বলে ফিরছেন লখনউ অধিনায়ক, তখন জিততে বাকি আর মাত্র ১৬ রান। বাকি কাজটা শেষ করলেন পুরান আর স্টয়নিস। লখনউ ম্যাচ জিতল ৮ উইকেটে। টানা তিন ম্যাচ জেতার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেল ঋতুরাজদের।
[আরও পড়ুন: ‘স্যর, আমাদের হারিয়ে দিয়ে যান’, ধোনি আবেগের ঢেউ লখনউয়ে]
চেন্নাই ম্যাচের আগে লখনউ শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল কয়েকটি অদ্ভুত হোর্ডিং। যেখানে লেখা ছিল, “আমরা চাই, ধোনি ভালো খেলুক। কিন্তু এলএসজি যেন ম্যাচ জিতে চায়।” এদিনের ম্যাচে দুকূলই বজায় রইল। মাহির মারও দেখা হল, আবার লখনউয়ের জয়ও নিশ্চিত হল।