অর্ণব আইচ: বন্ধুদের সঙ্গে মিলে নিরীহ যুবককে বেলাগাম মারধর। পরিণামে ওই যুবকের মৃত্যু। সদ্য কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় এবার জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার এক অভিযুক্ত। শনিবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করলেন মধ্য কলকাতার মুচিপাড়া থানার আধিকারিকরা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তরুণের নাম পরবেশ ওঁরাও। ভূগোলে স্নানকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করে পরবেশ। থাকে মুচিপাড়ার ওই হস্টেলে। কিন্তু মোবাইল চোর সন্দেহে হস্টেলে গণধোলাইয়ে যুবকের মৃত্যুর পর পুলিশি ধরপাকড় শুরু হতেই সে পালিয়ে গিয়েছিল মামারবাড়িতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হল।
সম্প্রতি বউবাজারের হস্টেলে মোবাইল চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ে (Lynching) এরশাদ আলম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। ঘটনা পরম্পরায় জানা গিয়েছে, তাঁকে রাস্তা থেকে টেনেহিঁচড়ে হস্টেলের ভিতর নিয়ে যায় ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্ররা। গণধোলাইয়ে মৃত্যু (Death)হয় এরশাদের। এই ঘটনার অভিযুক্ত ১৪ জন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করে গণধোলাইয়ের সময় যারা উপস্থিত ছিল, তাদের নাম উঠে আসে। ধৃত শংকর বর্মন, পবিত্র মুর্মু-সহ বাকি কয়েকজন অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, আরও তিনজন মারধরের সময় উপস্থিত ছিল। ওই তিনজন নিজেরাও মারধর করে।
[আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নেতৃত্বে রোহিতই, জানিয়ে দিলেন জয় শাহ]
কিন্তু গণধোলাইয়ের পর পরই তারা কলকাতা (Kolkata)ছেড়ে পালিয়ে যায়। তিনজনই মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা পরবেশ ওঁরাওয়ের সন্ধানে পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু সেখানে তার সন্ধান মেলেনি। তার কয়েকজন আত্মীয় ও পরিচিতকে ছেলের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ আধিকারিকরা (Kolkata Police)। তাতেই জানতে পারেন যে, পরবেশ তার মামার বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছে। শনিবার জলপাইগুড়িতেই তার মামার বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। গণধোলাইয়ে তার ভূমিকা জানার চেষ্টা হচ্ছে। এ ছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকি দু’জন এখনও পলাতক। ওই দু’জনেরই বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ মেলেনি। বিভিন্ন জায়গায় তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।