সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার খাস রাজধানী দিল্লিতে গোরক্ষকদের (Cow vigilante) দাপাদাপি। গো-মাংস বিক্রির অভিযোগে এক ফার্মহাউসের কেয়ারটেকারকে পিটিয়ে মারল তথাকথিত গোরক্ষক বাহিনী। যদিও মৃতের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী এক বছরের বেশি সময় ধরে অসুস্থ। তিনি গোমাংস বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছিল।
মূল ঘটনাটি সোমবার রাতের। দিল্লির (Delhi) দ্বারকা এলাকার বাসিন্দা ওই কেয়ারটেকারের উপর হামলা চালায় ১০-১৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল। প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা হয় রাজারাম নামের ওই যুবককে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও ওই যুবককে রক্ষা করা যায়নি। কাউকে এখনও গ্রেপ্তারও করা হয়নি। তবে, অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জন যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে বর্ণবিদ্বেষের শিকার দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ, মারধরের পর খোলা হল পাগড়ি]
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে দ্বারকা অঞ্চলে এক চিকিৎসকের ফার্মহাউসে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন মৃত রাজারাম (Rajaram)। স্ত্রী এবং চার সন্তান নিয়ে মোট ৬ জনের সংসার তাঁর। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যক্তি ফার্মহাউসের ভিতরেই গো-হত্যা করতেন এবং লুকিয়ে গোমাংস বিক্রি করতেন। বেশ কিছুদিন ধরেই এসব নিয়ে ওই এলাকায় গুজব ছিল। যার জেরেই সোমবার রাতে তাঁর উপরে হামলা হয়।
[আরও পড়ুন: দু’দিন সরকারি ছুটি নয়, অফিসে হাজিরা সকাল ৮টায়, প্রথমদিনই ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের]
যদিও মৃতের স্ত্রী গোমাংস বিক্রির অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, “আমার স্বামীর নামে কারা যেন গুজব ছড়াচ্ছিল। ও গত এক বছর ধরে লিভারের সমস্যায় কার্যত শয্যাশায়ী।” মৃত রাজারাম কেয়ারটেকারের কাজ করে মাসে ৩-৪ হাজার টাকা রোজগার করতেন। সেই সঙ্গে সামান্য কিছু রোজগার করত তাঁদের ১৬ বছরের ছেলে। জানিয়েছেন মৃত যুবকের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুতে দিশেহারা ওই মহিলা সুবিচার চাইছেন। এবার একা ১৬ বছরের ছেলের সামান্য রোজগারে তাঁর সংসার চলবে কী করে, ভেবে কূল পাচ্ছেন না মহিলা।