কলহার মুখোপাধ্যায়: স্বর্ণালোকে ঝলমলে শ্যামা৷ মুণ্ডমালিনী যে মা কালীকে দেখতে আমরা অভ্যস্ত সেই গলায় বিশ ভরির হার৷ হাতে ঝলমলে মানতাসা৷ উজ্জল নীল শ্যামা প্রতিমার অঙ্গসজ্জায় নানা মিনাকারি৷ আর কারুকাজ শোভিত সোনার বিশাল মুকুট৷ বিস্ময় জাগায়৷ কে কার অলংকার!
চমকে দেওয়ার লড়াইয়ে কলকাতাকে টক্কর দিতে এবার কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পূর্ব কলকাতার শহরতলিও৷ বাগুইআটি থানা এলাকার দশদ্রোণ মানিকতলা খেলার মাঠ কালী পুজো উপলক্ষে এই স্বর্ণচমকের আয়োজন করেছে চমক দিতেই৷
নিউটাউনের চিনার পার্ক থেকে যে রাস্তাটা রাজারহাটের দিকে ঢুকে গিয়েছে সে রাস্তাটার নাম রাজারহাট রোড৷ সেই রাস্তা দিয়ে খানিকটা গেলে পড়ে দশদ্রোণ মোড়৷ তার পাশেই হচ্ছে মানিকতলার এই কালীপুজো মণ্ডপ৷ প্রতিমার রূপ দিয়েছেন সনাতন রুদ্র পাল৷ সেই প্রতিমার অঙ্গে শোভা পাবে ৬০ কেজি ওজনের সোনার গয়না৷ মুকুট থেকে গলার হয়ে কানপাশা৷ সবই নিরেট সোনার৷ মাথার মুকুটে সোনার সুতোতে বোনা ফুল৷ গলার হারে থাকছে মিনাকারি কাজের অপরূপ নিদর্শন৷ কানপাশা থেকে মানতাসা সবকিছুর মধ্যে কুশলী শিল্পের ছোঁয়া৷ সবমিলিয়ে সোনায় মোড়া কালীপ্রতিমা৷ আর এই কেজি কেজি সোনার পাহারায় থাকছেন দিনপ্রতি ৩৬ জন করে নিরাপত্তারক্ষী৷ এরা সবাই অবশ্য বেসরকারি৷ বাগুইআটি থানা থেকেও থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা৷ দু’জন করে আর্মড ও দু’জন আন-আর্মড পুলিশ৷ গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফেও পাহারায় রাখা থাকবে নিরাপত্তারক্ষী৷ আর থাকছে গুনে গুনে ৪০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা৷ যেগুলি প্যান্ডেল ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি বাড়ির ছাদেও লাগানো থাকছে সিসিটিভি৷ যেগুলি আসা-যাওয়ার রাস্তার দিকে নজরদারি চালাবে৷
পুজোর মূল উদ্যোক্তা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি স্থানীয় কাউন্সিলরও৷ জানাচ্ছেন, ২৭ তারিখ পুজো উদ্বোধন৷ পরের দিন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা আসবেন প্রতিমা দর্শন করতে৷ পুজোর পরে অন্নকূট অনুষ্ঠানে প্রায় ৪ হাজার গরিব মানুষকে খাওয়ানো হয়৷ বহু মানুষকে জামাকাপড়ও দেবেন বলে জানাচ্ছেন স্বাতী দেবী৷ গয়নার চাকচিক্যের পাশাপাশি প্যান্ডেলেও থাকছে থিমের অসাধারণ কারিকুরি৷ রাজস্থানের পিঙ্ক প্যালেসের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ৷
The post ৬০ কেজি স্বর্ণালঙ্কারে ঝলমলে কালী প্রতিমা appeared first on Sangbad Pratidin.