সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন সফরে যাওয়ার ঠিক আগেই মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) সঙ্গে ফোনে কথা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। মূলত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত সহযোগিতা বিষয়েই কথা হয়েছে তাঁদের। সম্প্রতি ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন কেনার চুক্তি বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপরই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করতে দেখা গেল তাঁকে।
কোন কোন বিষয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার? ফরাসি প্রেসিডেন্টের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।
গত সপ্তাহেই অস্ট্রেলিয়া চুক্তি বাতিল করেছে ফ্রান্সের সঙ্গে। হাতিয়ারের বাজারে মুনাফা বাড়াতে কয়েকশো কোটি ডলার মূল্যের ওই চুক্তি ফরাসি অস্ত্রনির্মাতাদের কাছে বড়সড় সুযোগ ছিল। এভাবে মুখের গ্রাস ছিনিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন দিয়ে ফ্রান্সের ক্ষোভের মুখে পড়েছে আমেরিকা। আমেরিকার এই ভূমিকাকে ‘পিছন থেকে ছুরি মারা’র শামিল বলে উল্লেখ করেছে তারা।
আরও পড়ুন: গান্ধী জয়ন্তীতেই কংগ্রেসে কানহাইয়া, জিগনেশ? জল্পনায় আরও একাধিক বড় নাম]
এদিকে চলতি সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়া ছাড়াও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে মোদির। বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও বৃহস্পতিবার মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এছাড়াও ওইদিনই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওসিহিদে সুহার সঙ্গেও মোদির সাক্ষাৎ হওয়ার কথা।
এবারের সফরে অ্যাপল সংস্থার প্রধান টিম কুকের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে মোদির। তবে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক সূচি এখনও জারি করা হয়নি। এবারের কোয়াড সম্মেলনে আলোচনার প্রধান বিষয় হতে পারে আফগানিস্তান পরিস্থিতি। এছাড়াও কোভিড অতিমারী ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতাবস্থা বজায় রাখা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।