সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ানডে থেকে ক্যাপ্টেন কোহলির অপসারণের পর রীতিমতো অগ্নিগর্ভ ভারতীয় ক্রিকেট। দ্বিধাবিভক্ত ক্রিকেট সমর্থকরাও। ক্রিকেটমহল দ্বিখণ্ডিত। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যন্ত বিবৃতি পেশ করেছেন আসমুদ্রহিমাচলকে শান্ত করতে। সন্দীপ পাটিলের মতো প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান বলে দিয়েছেন যে, শচীন তেণ্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar) তাঁরা দিল্লি টেস্টে বাদ দিতে দু’বার ভাবেননি। কোহলি সেখানে কে? আবার এর উলটো মতও রয়েছে। ভারতের প্রাক্তন কোচ মদন লাল যেমন বিস্ফারিত কোহলিকে বোর্ডের সরিয়ে দেওয়া দেখে।
অতীতে দেশের হয়ে খেলা বা কোচিং করানো নয়। বোর্ডের (BCCI) ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যানও ছিলেন মদন। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলে দেন, “আমি জানি না, নির্বাচকদের ঠিক কী মনে হয়েছে? কিন্তু কোহলি (Virat Kohli) যখন রেজাল্ট দিচ্ছে, তাহলে ওকে সরানোর প্রয়োজনটা কী ছিল? ওর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া আমি বুঝি। কারণ, আজকালকার দিনে প্রচুর ক্রিকেট খেলতে হয়। কোহলি চেয়েছিল, একটা ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়ে বাকি দু’টোয় খেলা চালিয়ে যাবে।”
[আরও পড়ুন: ISL 2021: আইএসএল চালাতে গিয়ে আর্থিক লোকসানের মুখে FSDL, বিশ বাঁও জলে ‘VAR’ প্রয়োগ]
এখানেই না থেমে প্রাক্তন ভারতীয় কোচ দ্রুত জুড়ে দিচ্ছেন, “কী জানেন, আপনি না পারলে, আপনি ব্যর্থ হলে আপনাকে যদি সরিয়ে দেওয়া হয়, কিছু বলার থাকে না। কিন্তু সফল হওয়ার পরেও যদি আপনাকে কেউ সরায়, তাহলে খুব জ্বালা হয়। আমি তো ভেবেছিলাম, কোহলি ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করবে। মনে রাখবেন, একটা টিম তৈরি করাই সবচেয়ে কঠিন। আর ভেঙে ফেলাটা সবচেয়ে সোজা।”
ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে কোহলির অপসারণের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বলেছিলেন, সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ককে নিয়ে চলা সম্ভব নয়। তাতে টিম সংশয়ে ভোগে। মদন মানতে চান না। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে পুরনো জমানাকে টেনে আনছেন, যখন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করতেন মহেন্দ্র সিং ধোনি আর টেস্টে ক্যাপ্টেন্সি করতেন কোহলি। “কীসের ধোঁয়াশা? কীসের সংশয়? প্রতিটা অধিনায়কের আলাদা আলাদা স্টাইল থাকে। তাতে আবার ধোঁয়াশা কীসের? বিরাট আর রোহিতের অধিনায়কত্বের স্টাইল আলাদা হবে। ধোনির আলাদা ছিল। কিন্তু ক্রিকেটাররা তো পেশাদার। তাদের তো সেই মতো মানিয়ে খেলতে হবে,” বলে দিয়েছেন মদন লাল।