সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুর থেকে গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাল (Viral) ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি। বাদাম বিক্রির সময় নতুন সুর তুলে প্রায় রাতারাতিই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন দুবরাজপুরের ভুবন বাদ্যকর। তিনি এখন সকলের ‘বাদামকাকু’। এই গায়কই এবার এলেন কলকাতায়। আর পুরভোটের আগে তৃণমূলের প্রচার জমে উঠল ‘কাঁচা বাদাম’-এর সুরে। শনিবার সন্ধেবেলা তাঁর সঙ্গে রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় ভুবন বাদ্যকরের সঙ্গে আড্ডা জমালেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেখানে একটি চায়ের দোকানে জমে উঠল আড্ডা। তাঁর হাতে সাহায্যের অর্থস্বরূপ ২০ হাজার টাকা তুলে দিলেন বিধায়ক।
‘আমার কাছে নাইকো বুবু ভাজা বাদাম/আমার কাছে আছে শুধু কাঁচা বাদাম…।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এই দুই লাইন। ফেসবুক হোক কিংবা রিলস – সর্বত্র কান পাতলে শোনা যাচ্ছে ভুবন বাদ্যকরের গান। বীরভূমের কুড়ালজুড়ির বাড়িতে এখন মানুষের ঢল। জনপ্রিয় ইউটিউবার (YouTuber) স্যান্ডি সাহা আগেই দেখা করেছেন ভুবন বাদ্যকরের সঙ্গে। তাঁর গানের জনপ্রিয়তা যত বেড়েছে, ততই তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আরও বেশি বেশি মানুষ।সদ্যই বার্নপুরের একঝাঁক তরুণ-তরুণী ভুবন বাদ্যকরের হাতে তুলে দিয়েছেন পিয়ানো। বাদ্যযন্ত্র পেয়ে আবেগে আপ্লুত ভুবন বাবু জানিয়েছেন, তিনি গায়কই হতে চান।
[আরও পড়ুন: KMC Election: প্রতি ওয়ার্ডে মহিলাদের জন্য শৌচালয়, নিকাশিতে জোর, পুরভোটে তৃণমূলের ইস্তেহারে ১০ ঘোষণা]
এরপর ভুবন বাদ্যকারের যাত্রা ছিল বীরভূম থেকে কলকাতা (Kolkata)। শনিবার সকালে তিনি কলকাতায় এসে প্রথমে ১৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অমল চক্রবর্তীর হয়ে প্রচার করেন। রাস্তায় নেমে গান শোনান, প্রার্থীর সঙ্গে পায়ে পা মেলান, নিজের ভাইরাল গানটি নিজের গলায় গেয়েওছেন। এমন একজন প্রান্তিক শিল্পীকে কলকাতার মানুষের সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যেই তাঁকে ডেকে আনা বলে জানিয়েছেন প্রার্থী অমল চক্রবর্তী। দুপুরের এই প্রচারের পর সন্ধে নাগাদ ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত ভুবন বাদ্যকরকে দেখা গেল রবীন্দ্র সরোবরের চায়ের দোকান। তাঁর সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’য় মজলেন মদন মিত্র। সেখানেই মাইক্রোফোন নিয়ে নিজের গান ধরলেন ভুবনবাবু, পরে তাতে গলা মেলালেন জনপ্রিয় বিধায়কও। সঙ্গে ছিলেন চা দোকানের মালিক।
[আরও পড়ুন: ‘আমার স্বামীকে ভোট দেবেন না,’ পুরভোটে বিজেপি প্রার্থীর হার চান খোদ স্ত্রী!]
এই চায়ের দোকানটিরও আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। চকলেট চা থেকে শুরু করে দেশবিদেশের রকমারি স্বাদের চা নিজে হাতে বানান দোকানের মালিক বিজয় শীল। সে অর্থে তিনিও বেশ জনপ্রিয়। তাই দুই সাধারণ অথচ জনপ্রিয় মানুষকে একজায়গায় এনে মদন মিত্র কার্যত তাঁদের গুরুত্ব বোঝালেন। শুধু তাই নয়, প্রান্তিক গ্রামের দরিদ্র বাদাম বিক্রেতার পাশে দাঁড়াতে সকলের সামনে তাঁর হাতে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্যও। এই বাংলায় ভুবন বাদ্যকরদের মতো মানুষ যে সম্পদ, পাশে দাঁড় করিয়ে তেমনই বার্তা দিলেন কামারহাটির বিধায়ক। সবমিলিয়ে, শীতের সন্ধ্যায় কলকাতার বুকে চা, গান আর কথায় মজে গেলেন বীরভূমের ‘বাদামকাকু’।