সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ‘মিনি নির্বাচনে’ও শেষপর্যন্ত বড়সড় জয় পেল বিজেপি। সদলবলে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন। সেই সঙ্গে বিজেপি সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে যে সামান্যতম সংশয় ছিল। সেটাও কেটে গেল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপি ২৮টি আসনের মধ্যে ২০টিতে এগিয়ে গিয়েছে। মাত্র ৭টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। মায়াবতীর বিএসপি এগিয়ে ১ আসনে।
এ বছরের গোড়ার দিকে কংগ্রেস নেতা জ্যোত্যিরাদিত্য সিন্ধিয়া সদলবলে ‘হাত’ ছেড়ে পদ্মে নাম লেখান। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক। পরে একে একে আরও ৩ জন বিধায়ক গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আরও ৩ বিধায়কের মৃত্যুর ফলে মোট ২৮ আসনের এই উপনির্বাচন হয়েছে। ২৮টির মধ্যে ২৫ আসনেই কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়কদের প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। এদের মধ্যে ১২ জন আবার রাজ্যের মন্ত্রী। এই নির্বাচনকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জন্য বড় পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছিল। কারণ, সিন্ধিয়ার যে শুধুমাত্র কংগ্রেসের কাছে নিজের শক্তি দেখানোর ছিল, তাই নয়। বিজেপিকেও নিজের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন গোয়ালিয়রের মহারাজ। শেষপর্যন্ত সিন্ধিয়া বুঝিয়ে দিলেন গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকায় জনপ্রিয়তার নিরিখে এখন তাঁর হাতে হাত দেওয়ার মতো কেউ নেই।
[আরও পড়ুন: বিহারে হারের ইঙ্গিত মিলতেই শুরু ইভিএমকে দোষারোপ! কারচুপির অভিযোগ কংগ্রেস নেতার]
এই বড় জয়ের ফলে ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তাঁদের আসনসংখ্যা হতে চলেছে ১২৭। অন্যদিকে কংগ্রেস (Congress) যারা কিনা ২০১৮ ভোটের পর ১১৪টি আসন পেয়েছিল। তারা নেমে এল মাত্র ৯৪ আসনে। অন্যান্যদের মধ্যে ১ আসন বাড়ল বিএসপির। তাদের আসন বেড়ে হল ৪। সেই সঙ্গে একজন সমাজবাদী পার্টি এবং চারজন নির্দল বিধায়কও আছেন। জয় কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) বলছেন,”কংগ্রেসের অপপ্রচারে কান না দিয়ে উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন মানুষ।” আর কমল নাথ (Kamal Nath) বলছেন,”মানুষের রায় আমাদের মেনে নিতেই হবে।” যদিও হার মানতে নারাজ আরেক কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তার দাবি, বেছে বেছে ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে। এমন কিছু আসন আছে, যেগুলি আমরা কোনওভাবেই হারতাম না। কিন্তু সেখানেও আমাদের হাজার হাজার ভোটে হারানো হচ্ছে। তবে, আজকের ফলাফলে সবচেয়ে খুশি সম্ভবত হবেন সিন্ধিয়া। জয়ের ফলে দলে তাঁর মর্যাদা বাড়বে তাতে সন্দেহ নেই। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বও পেতে পারেন গোয়ালিওয়ের মহারাজ।