সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবেসে স্ত্রীকে সকলে কত কিছুই না উপহার দেন। গয়নাগাটি, শাড়ি, অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিংবা পছন্দসই জিনিসপত্র-সহ আরও কত কী। নিজের স্ত্রীকে ভালবেসে বাড়ি উপহার দেওয়াও নতুন কিছু নয়। তবে সেই বাড়ি যদি হয় তাজমহলের আদলে! তা যে নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী, সে বিষয়ে নতুন করে আর বলার কিছুই নেই। মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের বাসিন্দা আনন্দ চোকসেও ঠিকই একই কাজ করেছেন। তাঁর কীর্তি অবাক করেছে প্রায় সকলকেই।
মোগল সম্রাট শাহজাহান তাঁর পত্নী মমতাজের স্মৃতিতে বানিয়েছিলেন তাজমহল। সেই পথেই হেঁটেছেন আনন্দও। তবে তাঁর স্ত্রীর এখনও মৃত্যু হয়নি।
তাজমহলের (Taj Mahal) আদলে তৈরি ওই বাড়িটিতে মোট চারটি শয্যাকক্ষ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একটি লাইব্রেরি এবং মেডিটেশন রুম। ভাবলেন আর তাজমহলের মতো বাড়ি তৈরি হয়ে গেল, তা তো আর হয় না। তাজমহলের মতো বাড়ি তৈরির জন্য খিলান এবং জটিল নির্মাণশৈলী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে আনন্দকে। সে সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতে বারবার তাজমহল দেখতে গিয়েছেন আনন্দ। তারপরই সেটি বাস্তবায়িত করা হয়।
[আরও পড়ুন: এ কেমন মানসিকতা! বিয়ের বিজ্ঞাপনে হবু স্ত্রীর স্তন ও কোমরের মাপ নির্দিষ্ট করে দিল যুবক]
ইন্দোর এবং বাংলার দক্ষ শিল্পীদের সাহায্য নিয়েছিলেন আনন্দ। বাড়িটিতে একটি ২৯ ফুট লম্বা গম্বুজ রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে তাজমহলের মতো সুসজ্জিত টাওয়ার। রাজস্থানের ‘মাকরানা’ থেকে বাড়ির মেঝে তৈরি হয়েছে। বাড়ির আলোগুলিও অবিকল তাজমহলেরই মতো। শুধু বাড়ি তৈরি করলেই তো আর হল না, আসবাবপত্রও প্রয়োজন মানানসই। মুম্বইয়ের কারিগররা তৈরি করেছেন আসবাবপত্রগুলি।
শাহজাহানের স্ত্রী মুমতাজের মৃত্যু হয়েছিল বুরহানপুরে। তা সত্ত্বেও বুরহানপুরের পরিবর্তে আগ্রায় তৈরি হয়েছিল তাজমহল। কেন বুরহানপুরে এমন সুন্দর স্মৃতিসৌধ তৈরি হল না, তা সবসময় ভাবতেন আনন্দ। তিন বছরের চেষ্টায় তাজমহলের মতো বাড়ি তৈরি করতে পারায় খুশি আনন্দ। স্বামীর থেকে উপহার পেয়ে তাঁর স্ত্রীও বেজায় আনন্দিত। আপাতত প্রেমের জোয়ারে ভাসছেন আনন্দ এবং তাঁর ঘরনি।