সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার সিনেমা কিংবা উপন্যাসে দেখা মেলে এমন চরিত্রের। কিন্তু গুজরাটের ‘সাইকো কিলার’ (Psychopathic Killer) দিলীপ দেওল একেবারে রক্তমাংসের মানুষ। মূলত বয়স্ক মানুষদের বাস যে বাড়িতে সেখানেই হামলা চালাত সে। সাক্ষী যাতে কেউ না থাকে তা নিশ্চিত করতে একের পর এক খুন করতে হাত কাঁপত না তার। অবশেষে পুলিশের গুলিতে নিহত হল এই ঠান্ডা মাথার অপরাধী।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) দিলীপের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই শুরু হয়। শেষপর্যন্ত কমপক্ষে হাফ ডজন খুনে অভিযুক্ত দিলীপের মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ হয়ে। একাধিক রাজ্যের পুলিশ তাকে খুঁজছিল বলে জানা গিয়েছে। গত জুনে এক মহিলাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল দিলীপ দেওলের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় বুরেভির জেরে তামিলনাড়ুতে প্রবল বৃষ্টি, দক্ষিণ কেরলে জারি রেড অ্যালার্ট]
গত ২৫ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের রতলাম এলাকায় একই পরিবারের তিনজনকে মেরে ফেলে দিলীপ। ওইদিন ছিল দিওয়ালি। বাড়ির সকলে উৎসব পালনে ব্যস্ত ছিল। সেই সময় দিলীপ তার দলবল নিয়ে চড়াও হয়। পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের মেয়েকে খুন করে সে। যেহেতু আশপাশে বাজির শব্দ হচ্ছিল, তাই গুলির আওয়াজ খেয়াল করতে পারেনি কেউই। এর পিছনে ছিল দিলীপের ঠান্ডা মাথার পরিকল্পনা। এক জমি বিক্রির টাকা হাতে এসেছিল ওই পরিবারের। তাই ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এমন মতলব ভেঁজেছিল সে।
তার দলের বাকিদের আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু বেপরোয়া দিলীপ দিব্যি ঘাঁটি গেড়ে লুকিয়েছিল খুনের এলাকা থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরেই! বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ তার খবর পায় পুলিশ। পরে আরও রাতে নিজের আস্তানায় ফেরার সময় দিলীপের পিছু নেয় পুলিশকর্মীরা। তাকে ঘিরে ধরে আত্মসমর্পণ করার কথা বললেই দিলীপ গুলি চালাতে শুরু করে। এরপরই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তার। ঘটনায় জখম হয়েছেন পাঁচজন পুলিশকর্মীও।
[আরও পড়ুন: দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ধারাবাহিকতা নেই রাহুল গান্ধীর! বিস্ফোরক শরদ পওয়ার]
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) পুলিশের প্রশংসা করে টুইট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমি পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলাম যে, এমন রাক্ষসদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সমাজে এদের কোনও জায়গা নেই।’’