অর্ণব দাস, বারাসত: অতিরিক্ত ছাড়ে বিমানের টিকিটের প্রলোভন। ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার প্রায় ৭০ জন। খোয়া গিয়েছে ২৬ লক্ষ টাকা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই মধ্যমগ্রাম (Madhyamgram) থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম আবদালপুরের বাসিন্দা রঘুনাথ দাস। একটি বেসরকারি অ্যাকাডেমিক সংস্থার কর্মী তিনি। ওই সংস্থার একাধিক কর্মী এবং পরিচিত মিলিয়ে মোট ৭০ জন গত বছর পুজোর পরে ইন্দোনেশিয়া যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। প্রথমে তারা সিদ্ধান্ত নেন অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটবেন। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের নজরে পড়ে শিলিগুড়ির একটি ট্রাভেল এজেন্সি। দেখেন, ওদের মাধ্যমে টিকিট কাটলে প্রতিটি টিকিটে কমবেশি চার হাজার টাকা ছাড় মিলবে। এই প্রলোভনে পা দিয়ে তাঁরা আঠারো লক্ষ উননব্বই হাজার টাকা এবং মধ্যমগ্রামে দেখা করে সাতলক্ষ ত্রিশ হাজার পেমেন্ট করেন। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার দিন এগিয়ে এলেও তাঁদের টিকিট দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। শেষে তাঁদের টিকিটের বেশ কয়েকটি পিএনআর নম্বর দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই নম্বরগুলি দিয়ে টিকিট বুক করতে গেলে তাঁরা জানতে পারেন সবগুলোই জাল। বাধ্য হয়েই তারা ঘুরতে যাওয়ার দিন পিছিয়ে ফের টিকিট কাটেন। পরে অভিযুক্ত ট্রাভেল সংস্থা টাকা ফিরিয়ে দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বিগত চারমাস ধরে ওই সংস্থা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে, তারা প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে কমিশন’, রাজভবন থেকে বেরিয়ে তোপ অভিষেকের]
এর পরই মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রঘুনাথ দাস। তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার ঘোরানোর জন্য একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে টাকা দিয়েছিলাম। কোনও মতে সঞ্চয়ের টাকা ভাঙিয়ে, কেউ কেউ ধার করে ঘুরতে গিয়েছে পরে। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। প্রতারিতদের আইনজীবী বলরাম সরকার জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করানোর জন্য অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রতারণা থেকে বাঁচতে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বারংবার যাচাই করার পরেই আর্থিক লেনদেন করা উচিত।