অর্ণব দাস, বারাকপুর: জীবনের প্রথম পরীক্ষা, তাতে অসফল হওয়ার আশঙ্কা। সেই আশঙ্কায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। যেখানে পরীক্ষায় অসফল হওয়ার আশঙ্কায় আত্মহত্যার কথা স্বীকার করেছে মছলন্দপুরের ওই পরীক্ষার্থী।
মৃত ছাত্রীর নাম বৃষ্টি পোদ্দার (১৬)। মছলন্দপুরের সাদপুর এলাকার বাসিন্দা। এবছর মছলন্দপুর ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। জুন মাসেই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে পারে। কিন্তু তার আগেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সে। বিছানার পাশ থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল জট, ইস্টবেঙ্গলের নতুন ইনভেস্টর হচ্ছে ইমামি গ্রুপ]
জানা গিয়েছে,এদিন দুপুরে বৃষ্টির মা তাকে খেতে ডাকে। কিন্তু সে আসেনি। বারবার দরজা ধাক্কা দিলেও খোলেনি। এর পর দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা। বৃষ্টিকে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের আফশোস, পরীক্ষায় পাশ না করার আশঙ্কায় আত্মহত্যা করল। পরিবারের কারেরা সঙ্গে কথা বলেনি সে। কথা বললে হয়তো এই ঘটনা ঘটত না, বলছে পরিবারের সদস্যরা।
উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, “আমি প্রথম হতে পারব না, তাই পরিবারের সম্মান যাতে ধুলোয় মিশে না যায় তাই নিজেকে আর বাঁচাতে পারলাম না।” পুলিশ সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করেছে।
[আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা হাত শিবিরে, এবার কংগ্রেস ছাড়লেন কপিল সিব্বল]
করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতেই এবার অফলাইনে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মহামারী পরিস্থিতিতে পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিকঠাক হয়নি বহু পরীক্ষার্থীর। এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের খাতা সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেও পড়ুয়াদের আশঙ্কা কাটেনি। তাই মছলন্দপুরের মতো ঘটনা ঘটছে।
