সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দত্তক বালিকা কন্যাকে যৌন নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে চেন্নাইয়ে গ্রেপ্তার এক জওয়ান। আর এই অপরাধে তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল ওই ব্যক্তির স্ত্রীকেও। তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে (Madurai) শোরগোল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায়। জানা গিয়েছে, নিহত বালিকা অভিযুক্ত মহিলার মামি। তার মায়ের মৃত্যুর পরে বাবাও ছেড়ে চলে গেলে ওই বালিকাকে সঙ্গে করে নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মাসখানেকের ছুটিতে বাড়িতে আসার পর গত সপ্তাহে দত্তক কন্যাকে যৌন নির্যাতন করেন। আরও অভিযোগ, মেয়েটি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর কাছে সেই বিষয়ে জানালেও তিনি পুলিশে অভিযোগ করা তো দূরে থাক, বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
[আরও পড়ুন: ‘তিহার জেলে স্বাগত’, কেজরিওয়ালকে আগাম অভ্যর্থনা ‘ঠগবাজ’ সুকেশের]
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ওই বালিকার অচেতন দেহ নিয়ে অভিযুক্ত দম্পতি মাদুরাইয়ের এক সরকারি হাসপাতালে উপস্থিত হলে। চিকিৎসকরা মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার দেহের ময়না তদন্ত হলে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসে। ওই দম্পতিকে দুদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মেয়েটির বয়স যখন খুবই অল্প, তখনই তার মা মারা যান। তার বাবা তাকে ছেড়ে চলে যান। এর পরই ওই জওয়ানের পরিবারেই সে বড় হচ্ছিল। কী করে এমন ঘৃণ্য অপরাধের শিকার হতে হল তাকে, এর পিছনে অন্য কোনও চক্রান্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।