সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বপ্নভঙ্গ প্রজ্ঞানন্দর (Praggnanandhaa)। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন ম্যাগনাস কার্লসেন (Magnus Carlsen)। রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ ও কার্লসেনের বুদ্ধিযুদ্ধের নিষ্পত্তি হল টাইব্রেকারে। দাবা বিশ্বকাপের প্রথম দুটো ক্লাসিক্যাল গেম ড্র হওয়ায় কার্লেসন ও প্রজ্ঞার ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দু’ জনের। প্রথম টাইব্রেক কার্লসেন জিতে নেন। ৪৭টি চালের পরে হার মানতে হয় প্রজ্ঞানন্দকে।
প্রথম টাইব্রেকের শেষের দিকটায় কার্লসেন দুর্দান্ত চাল দিয়ে জিতে নিয়েছিলেন। প্রথম টাইব্রেকার কার্লসেন জেতার ফলে দ্বিতীয় টাইব্রেকার জিততেই হতো প্রজ্ঞানন্দকে। এই অবস্থায় দ্বিতীয় টাইব্রেকারে খেলা শুরু করেন প্রজ্ঞানন্দ। কিন্তু দ্বিতীয় টাইব্রেক ড্র হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে যান কার্লসেন। ২১টি চালের পরে পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচে আর ফেরা সম্ভব নয় প্রজ্ঞানন্দর পক্ষে।
প্রজ্ঞানন্দ হেরে গেলেও এ লড়াই গৌরবের। সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হয় কার্লসেন ও প্রজ্ঞানন্দর। কার্লসেন আগ্রাসী খেলোয়াড়। আক্রমণাত্মক খেলছিলেন। প্রজ্ঞাও কম যান না। তিনিও রক্ষণ ও আক্রমণের মিশেলে আটকে রেখেছিলেন কার্লসেনকে। অতীতেও প্রজ্ঞানন্দ হারিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু অভিজ্ঞতা কার্লসেনকে শেষ ল্যাপে এসে জিতিয়ে দিল।
আন্তর্জাতিক চেস ফেডারেশনের তরফে লেখা হয়, ১৮ বছরের ভারতীয় বিস্ময়বালককে অভিনন্দন। দুর্দান্ত এক টুর্নামেন্ট উপহার দিয়েছে। ফাইনালে ওঠার পথে প্রজ্ঞা হারিয়েছেন বিশ্বের দুই নম্বর হিকারু নাকামুরাকে। বিশ্বের তিন নম্বর ফ্যাবিয়ানো কারুয়ানাকেও হারান প্রজ্ঞানন্দ।
প্রজ্ঞা হেরে গেলেও তাঁর পাশে সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভক্ত লিখলেন, ”তুমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছো। তুমিই আমাদের চ্যাম্পিয়ন। তোমার ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা রইল।” আরেক ভক্ত প্রশ্ন তুললেন, ”দাবার ইতিহাসে এটাই কি সবচেয়ে কঠিন লড়াই?” কার্লসেনের মতো এক চ্যাম্পিয়ন দাবাড়ুর কাছে হার মানলেও প্রজ্ঞানন্দ নিজেকে উজাড় করে দেন ফাইনালে। এদিন হেরে গেলেও তাঁর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এমন কথাই বলছেন ভক্তরা।