সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঞ্চে নাচে ব্যস্ত স্কুলের ছাত্রীরা৷ পিছনে চলছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিম্বা’ ছবির গান ‘লড়কি আঁখ মারে’৷ বয়স বা পদের তোয়াক্কা না করে, নৃত্যে মগ্ন ছাত্রীদের সঙ্গে কোমর দোলালেন এনসিপি সাংসদ মধুকর কুকড়েও৷ রবিবার সকালে এমন দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্রের ভান্ডারের একটি স্কুল৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন হটকেকের মতো ছড়িয়ে পড়েছে প্রবীণ সাংসদের এই চটুল নাচ৷ বিতর্ক তুঙ্গে৷
[ভোটের আগে নয়া চমক, উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ]
প্রশ্ন উঠছে, স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এমন চটুল গান বাজানোর অনুমতি দেওয়া হল কীভাবে ? দ্বিতীয়ত, একজন প্রবীণ জনপ্রতিনিধি হয়ে কোন আক্কেলে চটুল নাচে পা মেলালেন মধুকর কাকড়ে! একাংশের মতে, ভারতীয় রাজনীতি থেকে অনেককাল আগেই নিয়মকানুনের পাঠ চুকে গিয়েছে৷ নেতারা এখন সমাজসেবা থেকে নিজের সেবায় বেশি ব্যস্ত৷ সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায় দেখা গিয়েছে, কীভাবে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনসিপি সাংসদ মধুকর কাকড়ের এই কাজ স্বাভাবিক বলেই কটাক্ষ করছে সবাই৷ তবে লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা এর ফায়দা তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গানের তালে তালে স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে পা মেলাচ্ছেন সাংসদ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য ছাত্রীদের উৎসাহ দিচ্ছেন তিনি৷ সাংসদের নাচ দেখে আনন্দে চিৎকার করছে আরও ছাত্রী৷
[কুম্ভমেলার নিরাপত্তায় ২০,০০০ ‘নিরামিষাশী’ পুলিশকর্মী]
প্রসঙ্গত, ২০১৭ পর্যন্ত ভান্ডারা-গোন্ডিয়া থেকে বিজেপি সাংসদ ছিলেন মধুকর৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করেন তিনি৷ পদত্যাগ করেন সাংসদ পদে৷ যোগ দেন এনসিপিতে৷ কংগ্রেসের সমর্থনে এনসিপি-র টিকিটে উপনির্বাচনে জয়ী হন মধুকর কুকড়ে৷ ৪৮ হাজার ভোটে পরাজিত করেন বিজেপি প্রার্থীকে।