সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী শিবিরের আসনরফা নিয়ে জট তৈরি হতে পারে মহারাষ্ট্রে। সেই আশঙ্কা অনেকটা দূর করে ফেলল মহা বিকাশ আঘাড়ি। কংগ্রেস, শিব সেনার উদ্ধব শিবির এবং এনসিপির শরদ শিবিরের মধ্যে আসন রফা প্রায় চূড়ান্ত। সূত্রের খবর, ২৮৮ আসনের মধ্যে প্রায় ২৬০টি আসনে রফা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। গোটা পঁচিশেক আসনে এখনও সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সেই সমস্যা মেটাতে আসরে নামতে হবে একেবারে শীর্ষ নেতাদের।
গত দুবছরে দেশের যে রাজ্যটিতে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে সেটি হল মহারাষ্ট্র। রাজ্যের অন্যতম বড় দুটি রাজনৈতিক দল দুভাগ হয়ে দুই শিবিরে বিভক্ত। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আসন সমঝোতার কাজটি বেশ দুরূহ ব্যাপার। সেই দুরূহ কাজটি অনেকটা এগিয়ে ফেলল বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠকে প্রায় ২৬০ আসনে রফা চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর। ২৫ আসনে রফা চূড়ান্ত হয়নি। তিন শিবিরেরই সেই আসনগুলিতে দাবি আছে। এই আসনগুলিতে সমস্যা মেটাতে খোদ মল্লিকার্জুন খাড়গে, উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পওয়ার আসরে নামবেন।
কিন্তু কোন সূত্রে রফা? শোনা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ১০০টি আসনে, উদ্ধব সেনা ৯০-১০০টি আসনে লড়তে চলেছে। এনসিপির শরদ লড়তে পারে ৭০-৮০ আসনে। হরিয়ানা থেকে শিক্ষা নিয়ে কংগ্রেস মহারাষ্ট্রে প্রকাশ আম্বেদকরকেও জোটে চাইছে। তবে তাঁর জোটে আসার সম্ভাবনা কম। সমাজবাদী পার্টি ও অন্যান্য ছোট দলকেও দু-একটি আসন ছাড়া হতে পারে বলে খবর।
মহাজুটি অর্থাৎ শাসক শিবিরেও আসনরফা প্রায় চূড়ান্ত। সমঝোতার যে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া যাচ্ছে, সেই সূত্র অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের মধ্যে বড় শরিক বিজেপি একাই লড়বে ১৫০-১৫৫টি। ওই সূত্র অনুযায়ী, শাসক শিবিরের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল শিব সেনা (শিণ্ডে শিবির) লড়বে ৯০-৯৫টি আসনে। কদিন আগে পর্যন্ত এনসিপির অজিত শিবির আদৌ শাসক জোটে থাকবে কিনা তা নিয়েও সংশয় ছিল। তবে সেই সংশয় দূর করে আসনরফায় তাঁর দলও রয়েছে। রফা অনুযায়ী, এনসিপির অজিত শিবির লড়বে ৪০-৪৫ আসনে।