শুভময় মণ্ডল: গান শুনে যদি ঘুম ভাঙে তবে কেমন হয়? মন্দ লাগবে না তাই তো? সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই ব্যবস্থাই করল দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ৷ পুরকর্তৃপক্ষের তরফে এলাকার আপাতত দু’টি ওয়ার্ডে লাগানো হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেম৷
[আরও পড়ুন: পুজোয় খবর নিয়ে খবরদারি বিবেকানন্দ সার্বজনীনের, এবারের থিম মিডিয়া]
সিগন্যালে দাঁড়িয়ে বিরক্তি দূর করতে গানের বন্দোবস্ত করেছিল রাজ্য সরকার৷ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সাউন্ড সিস্টেম লাগানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল৷ রবীন্দ্র সংগীত থেকে নজরুল গীতি আবার কখনও দেশাত্মবোধক গান শোনা যায় সেখানে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটছে দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ৷ ওই পুরসভার ১৪ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বসতে চলেছে সাউন্ড সিস্টেম৷ সকাল থেকে তাতে শোনা যাবে নানা ধরনের গান৷ সঙ্গে পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে সর্বত্র৷
এলাকাবাসীর একটাই প্রশ্ন কবে থেকে চালু হবে সাউন্ড সিস্টেম? দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য প্রবীর পাল বলেন, ‘‘মহালয়ার পুণ্যতিথিতে উদ্বোধন হবে সাউন্ড সিস্টেমের৷’’ কিন্তু কেন এমন দিনটিকে বেছে নেওয়া হল? উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘এক্কেবারে কাকভোরে মহিষাসুরমর্দিনী সম্প্রচারিত হয়৷ যাঁরা সকালে হাঁটতে যান তাঁদের পক্ষে মহিষাসুরমর্দিনী শোনা কিংবা দেখা সম্ভবপর হয় না৷ তাই তা বাজানো হবে ওই সাউন্ড সিস্টেমে৷ স্বাস্থ্যসচেতন বাসিন্দাদের কথা ভেবেই ওই দিনটিকে বেছে নিয়েছি৷’’ প্রবীরবাবুর উত্তরে বেজায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা৷
[আরও পড়ুন: ‘জাগুয়ার চালাচ্ছিল না আরসালান পারভেজ’, লাউডন স্ট্রিট কাণ্ডে নয়া মোড়]
পুরসভা সূত্রে খবর, আপাতত দু’টি ওয়ার্ডে বসানো হবে সাউন্ড সিস্টেম৷ তবে পরবর্তীকালে দক্ষিণ দমদমের মোট পঁয়ত্রিশটি ওয়ার্ডে এই সাউন্ড সিস্টেম বসানোর ভাবনা রয়েছে বলেই খবর৷ এলাকা সৌন্দর্যায়নের এই উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী৷