shono
Advertisement

Breaking News

বিহারের রাজনীতি কতটা তুলে ধরতে পারল হুমা কুরেশির ‘মহারানি’সিরিজ? পড়ুন রিভিউ

বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর অনুপ্রেরণাতেই কি তৈরি হুমার চরিত্রটি?
Posted: 04:03 PM May 29, 2021Updated: 04:03 PM May 29, 2021

সুপর্ণা মজুমদার: সরকার ও সিস্টেম। গণতন্ত্রে এই দুইয়ের সংঘাত চলতেই থাকে। ভারতবর্ষের মতো দেশে এই গণতন্ত্র আবার স্থান-কাল-পাত্র কিংবা পাত্রী নির্বিশেষে পালটে যায়। বাংলায় যা, বিহারে তা নয়। রাজ্য ভেদে পালটে যায় সংস্কৃতি, পালটে যায় রাজনীতি। রাজনীতির সেই কাহিনিই ‘মহারানি’ সিরিজের (Maharani Series) মাধ্যমে তুলে ধরেছেন পরিচালক সুভাষ কাপুর (Subhash Kapoor)। নাম ভূমিকায় হুমা কুরেশি ।

Advertisement

এর আগে ‘জলি এলএলবি’র মতো সিনেমা তৈরি করেছেন সুভাষ কাপুর। কিছুদিন আগে আবার রিচা চড্ডাকে নিয়ে ‘ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার’-এর মতো সিনেমাও তৈরি করেছেন। রাজনীতি এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে সব সময় সিনেমায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। সিরিজের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাস্তবের অনেক ঘটনার সঙ্গেই মিল পাবেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ি দেবী থেকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলা, বর্ণবিদ্বেষ, উগ্র বামপন্থা, কট্টরপন্থীদের হত্যালীলা – সমস্ত রসদই নিজের চিত্রনাট্যের ভিত হিসেবে রেখেছেন সুভাষ কাপুর। তবে কিছু জায়গায় অযথা গল্প বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। ১০ এপিসোড না হলেও তো সিরিজ চলে যেত।

[আরও পড়ুন: ভাল নেই মিমি চক্রবর্তী! ভিডিও পোস্ট করে কোন যন্ত্রণার কথা বললেন তারকা সাংসদ?]

সিরিজের গল্পে তেমন নতুনত্ব কিছু নেই। ‘ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার’-এর (Madam Chief Minister) মতোই এক নারীর উত্থানের কাহিনি। তবে এক্ষেত্রে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর অনুপ্রেরণাই যেন বেশি। মুখ্যমন্ত্রী স্বামী ভীমা ভারতী (সোহুম শাহ) দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হওয়ার পর তার জায়গায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয় অক্ষরজ্ঞানহীন রানি ভারতী (হুমা কুরেশি)। প্রথমে হাবুডুবু খেলেও রাজনীতির সমুদ্রে সাঁতার কাটতে দিব্যি শিখে যায় রানি। বিহারের অবস্থা শোধরানোর গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। কিন্তু দুর্নীতির যত ভিতরে সে পৌঁছানোর চেষ্টা করে একের পর এক কঠিন সত্যি তার সামনে আসতে থাকে। শেষে স্বামীর অন্যায়ের কথাও জানতে পারে। তবে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না রানি (এমন উদাহরণ অবশ্য বাস্তবে খুবই কম)।

সিরিজের চিত্রনাট্য কিছু কিছু জায়গায় বেশ দুর্বল মনে হয়েছে। তবে সে খামতি পূরণ করে দিয়েছেন অভিনেতারা। মুখ্য চরিত্রে হুমা কুরেশির (Huma Qureshi) অভিনয় বেশ ভাল। তবে কয়েক জায়গায় তাঁর মুখের মেকআপের সঙ্গে হাতের মেকআপ মেলেনি। এদিকটা খেয়াল রাখা উচিত ছিল। সোহুম শা (Sohum Shah), অমিত সিয়াল (নবীন কুমার), বীনিত কুমার (গৌরী শংকর পাণ্ডে) ভাল অভিনেতা। মিশরা জি এবং প্রেম কুমারের চরিত্রে প্রমোদ পাঠক এবং মহম্মদ আশিক হুসেইনের অভিনয়ও আলাদাভাবে নজর কেড়েছে। পারভেজ আলমের চরিত্রে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া দিয়েছেন ইনামুল হক।

তবে কাবেরী চরিত্রে দক্ষিণী অভিনেত্রী কানি কুসরুতিকে (Kani Kusruti) আর একটু সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল পরিচালকের। অভিনয়ের জন্য দাক্ষিণাত্যে কানির সুনাম রয়েছে। রানি ও কাবেরী যৌথভাবে পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই লড়লে আরও ভাল লাগত। সবশেষে বলা যায়, খামতি কিছু থাকলেও সোনি লিভ (Sony Liv) প্ল্যাটফর্মের নতুন সিরিজটি দেখতে মন্দ লাগেনি।বাকি সিদ্ধান্ত এবং মতামত আপনার বা আপনাদের। 

[আরও পড়ুন: দুয়ারে বিধায়ক! সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করা যুবকের বাড়ি পৌঁছে গেলেন রাজ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement