সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ। অর্থাৎ আর নতুন করে কোনও আসনে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু মজার কথা হল, মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে শাসক-বিরোধী কোনও শিবিরই সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। অন্তত সরকারিভাবে যা প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে, সেই অনুযায়ী মহাজুটি বা মহা বিকাশ আঘাড়ি কোনও শিবিরই ২৮৮টি আসনে লড়ছে না।
গত কয়েক বছরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি আমূল বদলে গিয়েছে। শিব সেনা, এনসিপি দুই স্থানীয় দলই দুই শিবিরে ভেঙে গিয়েছে। এমন সব জোট তৈরি হয়েছে যা আগে ভাবাও যেত না। স্বাভাবিকভাবেই আসনরফা নিয়ে শুরু থেকেই ঝামেলায় পড়তে হয়েছে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরকে। বিস্তর বিবাদও হয়েছে। মজার কথা হল, বিবাদ এই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে শেষ পর্যন্ত সব আসনে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি কোনও শিবিরই। যার ফলে এমন কয়েকটি আসন রয়ে গিয়েছে যেখানে বড় কোনও দলই সরকারিভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
এই প্রতিবেদন লেখা হওয়া পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনের মধ্যে শাসক মহাজুটি লড়ছে ২৮৪ আসনে। অর্থাৎ ৪ আসনে সরকারিভাবে কোনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি শাসকজোটের তরফে। এই ২৮৪ আসনের মধ্যে বিজেপি লড়ছে ১৫২ আসনে, একনাথ শিন্ডের শিব সেনা লড়ছে ৮০ আসনে। অজিত পওয়ারের এনসিপি লড়ছে মাত্র ৫২ আসনে। বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাড়ির অবস্থা আরও খারাপ। মনোনয়ন পর্ব হওয়া পর্যন্ত সরকারিভাবে তাঁরা মাত্র ২৮০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পেরেছে। অর্থাৎ সরকারিভাবে ৮ আসন এখনও ফাঁকা। মহা বিকাশ আঘাড়িতে কংগ্রেস লড়ছে ১০৩ আসনে, উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা লড়ছে ৮৭ আসনে, শরদ পওয়ারের এনসিপিও লড়ছে ৮৭ আসনে। মহা বিকাশ আঘাড়ির আরেক শরিক সমাজবাদী পার্টিকে দেওয়া হয়েছে ৩ আসন।
এখন প্রশ্ন হল, এই বাকি আসনগুলিতে কী হবে? তাহলে কি এতগুলি আসনে বড় দলগুলির কোনও প্রার্থী থাকবে না? দুই শিবিরই জানিয়েছে এই আসনগুলিতে ছোট শরিকদের সমর্থন করা হবে। কিন্তু কারা সেই ছোট শরিক? কোনও শিবিরই স্পষ্ট করেনি। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শেষমেশ দুই শিবিরই ২৮৮ আসনে লড়বে। সরকারিভাবে ঘোষণা না করা হলেও সব আসনেই বড় দলের কোনও না কোনও নেতা মনোনয়ন দিয়েছেন। পরে হয়তো তাঁদের সমর্থনের কথা ঘোষণা করা হবে।