সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ নিজের বিধানসভা এলাকার মৎস্যজীবীদের সমস্যা নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিধায়ক। কিন্তু, খোদ বিধায়কের কথাতে কর্ণপাত করছিলেন না মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা। আর তাতেই বিধায়ক মশাইয়ের মেজাজ গেল বিগড়ে! মৎস্য দপ্তরের এক পদস্থ আধিকারিককে আস্ত একটি মাছই ছুড়ে মারলেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়ক নীতীশ রাণে।
[বিজেপি নেত্রীর কীর্তি, বসিরহাটে অশান্তি ছড়াতে হাতিয়ার ভোজপুরি সিনেমার দৃশ্য]
মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী সিন্ধুদুর্গ জেলায় বহু মৎস্যজীবীর বাস। সেই জেলারই কানকাভেলি বিধানসভাকেন্দ্রের বিধায়ক নীতীশ রাণে। বৃহস্পতিবার এলাকার মৎস্যজীবীদের সমস্যা নিযে আলোচনার জন্য নিজের দপ্তরেই একটি বৈঠক ডেকেছিলেন জেলার মৎস্য আধিকারিক। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক নীতীশ রাণেও। কিন্তু বৈঠক চলাকালীন আচমকাই মেজাজ হারান তিনি। টেবিলে রাখা একটি মাছ তুলে নিয়ে জেলার মৎস্য আধিকারিককে ছুড়ে মারেন। বিধায়ক নীতীশ রাণের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মৎস্যজীবীদের সমস্যাকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না জেলা মৎস্য আধিকারিক। তারই প্রতিবাদে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
[আয়করের পর সিবিআই হানা, চরম বিপাকে লালু]
জানা গিয়েছে, সিন্ধুদুর্গ জেলায় দু’ধরনের মৎস্যজীবী আছেন। একদল মৎস্যজীবী এখনও চিরাচরিত পদ্ধতিতেই মাছ ধরেন। আর আর একদল, মাছ ধরার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। মহারাষ্ট্র সরকার এই দুই ধরনের মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার জন্যই নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দিয়েছে। কানকাভেলির কংগ্রেস বিধায়ক নীতীশ রাণের অভিযোগ, চিরাচরিত পদ্ধতিতে মাছ ধরার জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় ঢুকে মাছ ধরছেন আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারকারী মৎস্যজীবীরা। যার জেরে যাঁরা চিরাচরিত পদ্ধতিতে মাছ ধরেন, সেইসব মৎস্যজীবীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতি মুখে পড়েছেন। নীতীশ রাণে বলেন, গত ফ্রেরুযারি মাসেই পুরো বিষয়টি সিন্ধুদুর্গ জেলার মৎস্য আধিকারিককে জানানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জেলা মৎস্য আধিকারিকের নিষ্ক্রিয়তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিপুল আর্থিক লোকসানের বোঝা বইতে হচ্ছে গরীব মৎস্যজীবীরা। তাই এই সমস্যার সুরাহার জন্য আক্রমনাত্মক ভূমিকা নিতে হয়েছিল তাঁকে।
[‘বুরহানকে মরতে দিতাম না’, বিস্ফোরক মন্তব্য কংগ্রেস নেতার]
The post জানেন, মৎস্য আধিকারিককেই কেন মাছ ছুড়ে মারলেন এই বিধায়ক? appeared first on Sangbad Pratidin.