সুব্রত বিশ্বাস: ট্রেনের সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। রেলের কর্মীদেরই বা নিরাপত্তা কতটুকু! রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বই মেলের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। চলন্ত ট্রেনে হাওয়ার দাপটে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দেন মুম্বই মেলের চালক ও সহকারী চালক। ঘটনাস্থলেই মারা যান সহকারী চালক। গুরুতর জখম চালক ভরতি নাগপুরের একটি হাসপাতালে। যাত্রীদের অভিযোগ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বা দমকল ডাকাকে তো দূর অস্ত, চালক ও সহকারি চালককে বাঁচাতেও রেল আধিকারিকদের কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি। তবে মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেছে রেল।
[বিমানসেবিকার শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট]
রবিবার সন্ধ্যা। সেন্ট্রাল রেলওয়ের ধামাগাঁও ও তালনি স্টেশনের মাঝে ছুটছে মুম্বই মেল। ইঞ্জিন থেকে আগুনে ফুলকি বেরতে দেখেন সহকারী চালক এম কে বিশ্বকর্মা। ঘটনাটি চালক ডি এল ব্রহ্মকে জানান তিনি। কিন্তু, আগুন নেভানোর আর সুযোগ পাওয়া যায়নি। চলন্ত ট্রেনে হাওয়ার দাপটে চোখের নিমেষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন? বুঝে উঠতে পারেননি মুম্বই মেলের চালক ও সহকারী চালক। শেষপর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিন থেকেই ঝাঁপ দেন দু’জনেই। ঘটনাস্থলেই মারা যান সহকারী চালক এম কে বিশ্বকর্মা। গুরুতর জখম চালক বি এল ব্রহ্ম। নাগপুরের একটি হাসপাতালে ভরতি তিনি। যাত্রীদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ রেললাইনে পড়ে ছিলেন চালক ও সহকারী চালক। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইঞ্জিনটি বদলাতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। নতুন চালক এনে মুম্বই মেলকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেন রেল আধিকারিকরা। রেলকর্তারা জানিয়েছেন, মুম্বই মেলের অগ্নিকাণ্ডে যাত্রীরা কেউ হতাহত হননি। মৃত সহকারী চালকের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। কিন্তু, কীভাবে আগুন লাগল ইঞ্জিনে? কারণ স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের খবর, রক্ষণাবেক্ষণ ও উপযুক্ত সরঞ্জাম ছাড়াই কোনওরকমে জোড়াতাপ্পি দিয়ে চলছে মুম্বই মেল।
[লোকসানে চলছে রেল, বোঝা সামলাতে জমি বিক্রি করবে মোদি সরকার]
The post চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, বাঁচতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু মুম্বই মেলের সহকারী চালকের appeared first on Sangbad Pratidin.