সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে অনেক বিয়েতেই কনের বাড়ির পক্ষ থেকে বরকে টাকা বা দামী আসবাবপত্র পণ হিসেবে দেওয়া হয়। দীর্ঘদি রীতি বহুদিন ধরে চলে আসছে। আইনবিরুদ্ধ হলেও অনেকেই মেয়ের বিয়েতে পণ দেন। কখনও বরপক্ষের দাবি মেনে তো কখনও আবার নিজেদের ইচ্ছায়। অনেক সময় আবার দেখা যায়, বিয়েতে পণ হিসেবে মোটা টাকা দিতে না পারলে অকথ্য অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে কনেকে। কিন্তু কখনও শুনেছেন শুধু টাকা নয়, পণ হিসেবে কচ্ছপ এবং বিদেশি কুকুর চাইছে বরপক্ষ! হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ঔরঙ্গাবাদে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাসিকের এক সেনা জওয়ানের সঙ্গে ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা ওই এক যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বাগদান সারেন দু’জনে। তার আগেই অবশ্য মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা নগদ এবং ১০ গ্রাম সোনা পণ হিসেবে দেওয়া হয়। কিন্তু বাগদানের পরই বরের বাড়ির পক্ষ থেকে আরও ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। বলা হয়, এই টাকায় হবু পুত্রবধূর জন্য সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এরপরই বরের বাড়ির দাবি বাড়তেই থাকে। বলা হয়, ২১টি নখযুক্ত কচ্ছপ, একটি কালো ল্যাব্রাডর কুকুর, একটি বুদ্ধের মূর্তি এবং দামি ল্যাম্প স্ট্যান্ড চাওয়া হয়। এর মধ্যে বিরল প্রজাতির কচ্ছপটিরই মূল্য পাঁচ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে মশাদের ঘূর্ণিঝড়, আতঙ্কে কাঁপছে রাশিয়ার একাধিক এলাকা, দেখুন ভিডিও]
মনে করা হচ্ছে, কুসংস্কারের জন্যই এই জিনিসগুলি পণ হিসেবে চেয়েছিল বরপক্ষ। কিন্তু প্রচুর খোঁজাখুঁজি করেও কনের বাড়ির লোক বিরল প্রজাতির ওই কচ্ছপটি পায়নি। একথা বরের বাড়ির লোককে জানাতেই তাঁরা বিয়ে বাতিল করে দেন। অন্যদিকে, আগে তাঁদের যে টাকা এবং গয়না দেওয়া হয়েছে, তাও ফেরত দিতে গররাজি হয়। আর তাই শেষপর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয় মেয়ের পরিবারের লোকজন। মামলা দায়েরও হয় থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪২০ ধারা, ৪০৬ ধারা এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। কিন্তু এই খবর সামনে আসতেই অনেকেই মূলত অবাক হয়ে গিয়েছেন। বরপক্ষের এই দাবি শুনে অনেকেই সমালোচনায় মুখরও হয়েছেন।