সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকের হাতে ধরা লাল নিশানেই জেগে উঠেছিল ভারতবর্ষ। এই তো কটাদিন আগের কথা। অভূতপূর্ব উত্থানে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিল রাষ্ট্রশক্তি। কৃষকদের দাবি দাওয়া মেনে নিতে হয়েছিল ফড়ণবিস সরকারকে। সেই মহারাষ্ট্রেই এবার উলটো ছবি। রাজ্যপালের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাল সেখানকার ৯১ জন কৃষক।
[ ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন কার? জানতে ৪০ ছাত্রীকে নগ্ন করে তল্লাশি ]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুলধানা অঞ্চলের বাসিন্দা তাঁরা। হাইওয়ে তৈরির জন্য তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। কিন্তু বিনিময় মূল্য সঠিকভাবে পাননি তাঁরা। সেই সঙ্গে ফসলের দামও পাননি। ফলে সব হারিয়ে একরকম কপর্দকশূন্য এই কৃষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সন্তানের মুখে খাবার পর্যন্ত তুলে দিতে পারছেন না তাঁরা। তাহলে আর এ জীবন রেখে কী লাভ? সরকার যখন অধিগৃহীত জমির দাম ঠিকঠাকভাবে দিতে পারল না, তখন স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতিটুকু অন্তত দিক। এসডিও এবং রাজ্যপালের কাছে এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক অবহেলার অভিযোগ আজকের নয়। তামিলনাড়ু থেকে মহারাষ্ট্র- দিকে দিকে কৃষকদের ক্ষোভ দানা বাঁধে। তবে সবথেকে সদর্থক প্রতিবাদের পথে নামেন মাহারাষ্ট্রের কৃষকরাই। বাম সংগঠন কিষাণ সভার ডাকে শামিল হয়ে কয়েক হাজার কৃষক নীরবে ‘লং মার্চ’ করেন। তাঁদের দাবি-দাওয়া পৌঁছে দেন সরকারের কাছে। কয়েকদিনের এই নীরব প্রতিবাদের পাশে ছিলেন সকল দেশবাসীও। যে কৃষি দেশের ভিত্তি, সেই কৃষকের প্রতি অবহেলা কোন মাত্রাছাড়া জায়গায় পৌঁছালে এই প্রতিবাদ হয়, তা হয়ে ওঠে আলোচনার বিষয়বস্তু। আন্দোলনে সাফল্যও আসে। ফড়ণবিস সরকার কৃষকদের সব দাবি মেনেও নেয়। যদিও প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবের মধ্যে বিস্তর ফারাক। তবে কৃষকদের সাধারণ দাবির বাইরেও যে দিকে দিকে কৃষকরা নানা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন, এই ঘটনা তা আবার স্পষ্ট করে দিল।
[ তিন সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দিতে কুলির পেশায় মা ]
The post পরিবারের মুখে খাবার তুলতে অপারগ, স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ৯১ কৃষকের appeared first on Sangbad Pratidin.