সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিদর্ভ থেকে ওড়িশা। মাঝে আরও দুই রাজ্য পেরিয়ে মোট ২ হাজার কিমি পথ পাড়ি দিল এক পুরুষ বাঘ। পেরতে হল বড় জলাশয় থেকে দিঘি, কয়লাখনি থেকে বিরাট রাস্তা, চাষের খেত থেকে অসংখ্য মনুষ্য বসতি। কিন্তু কেন সে এমন দুর্গম যাত্রায় শামিল হল? মনে করা হচ্ছে, সঙ্গিনীর খোঁজেই তার এই দীর্ঘ পাড়ি।
সাধারণত এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ঢুকে পড়া বাঘের (Tiger) সন্ধান মেলে তাদের গলায় রেডিও কলার থেকে। কিন্তু এই বাঘটির গলায় তেমন কিছু ছিল না। তার শরীরে ডোরাকে চিহ্নিত করেই বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছেন তার এই গতিবিধি সম্পর্কে। বিদর্ভের ব্রহ্মপুরীর বাসিন্দা বাঘটি কেবল সঙ্গিনী ও তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেতেই এমন ঝুঁকি নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মানুষকে হামলা করেনি বাঘটি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। মনে করা হচ্ছে, মূলত দিনের বেলা বিশ্রাম নিয়ে রাতে কিলোমিটারের পর কিলোমিটারের পর পাড়ি দিয়েছে বাঘ।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা ক্রিকেট নিয়ে মাতি আর ওঁরা…’, রাজৌরির শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা আনন্দ মাহিন্দ্রার]
এর আগে ছত্তিশগড় থেকে ওড়িশায় বাঘের ঢুকে পড়ার কথা জানা গেলেও সুদূর বিদর্ভ থেকে এতদূর এসে পড়ার নজির নেই। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বাঘসুমারি অনুয়ায়ী, ওড়িশায় (Odisha) বাঘের সংখ্যা ২০। এহেন পরিস্থিতিতে পুরুষ বাঘটির এখানে আসা বাঘেদের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা ও তাদের দীর্ঘায়ু করার জন্য প্রয়োজনীয় করিডর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তাকেই তুলে ধরছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে জানা গিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকছে বাঘ। আর তা হচ্ছে মূলত বাঘেদের মিলন ঋতুতেই। এবার দেশেরই ভিতরে চার রাজ্য পেরল দক্ষিণরায়।