সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের একদম শেষে কোভিড (COVID-19) বিধি না মানায় গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল ক্রিকেট তারকা সুরেশ রায়না (Suresh Raina) ও জনপ্রিয় গায়ক গুরু রনধাওয়া (Guru Randhawa)-সহ ৩৪ জনকে। মুম্বইয়ের এক ক্লাব থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি না মানার অভিযোগে রুজু করা হয়েছিল মামলা। পরে ৪ জানুয়ারি একই অভিযোগ আনা হয় সলমন খানের দুই ভাই আরবাজ (Arbaaz Khan) ও সোহেলের (Sohail Khan) বিরুদ্ধেও। কিন্তু এবার এই অভিযোগ তুলে নিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ একথা জানিয়েছেন।
বুধবার তাঁর নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে একথা জানিয়ে দেন অনিল। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা দায়ের করা মামলা এবার তুলে নিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। নিঃসন্দেহে এমন ঘোষণা স্বস্তি দেবে সোহেল, আরবাজ, রায়নাদের। যদিও ঠিক কেন এই অভিযোগ তোলা হল, তা স্পষ্ট করেননি মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সেলেব বলেই কি ছাড় দেওয়া হল তারকাদের?
COVID-19 नियमों का उल्लंघन करने के लिए IPC – 188 के अंतर्गत दाखिल किए गए केसेस को राज्य सरकार न्यायाईक प्रक्रिया का पालन करते हुए वापस लेगी। pic.twitter.com/weHyWghyUZ
[আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের জন্য ১০৮ ফুট উঁচু হনুমানের মূর্তি তৈরি করতে চান এই ‘ভক্ত’]
গত ২৫ ডিসেম্বর দুবাই থেকে ফেরেন সোহেল, আরবাজ ও সোহেল-পুত্র নির্বাণ। তাঁদের হোটেলেই কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও তাঁরা সকলেই বাড়ি ফিরে আসেন। এরপরই বৃহন্মমুম্বই পুরসভার অভিযোগ মেনে মুম্বইয়ের খার থানায় ১৮৮ ও ২৬৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। তারও আগে মুম্বইয়ের ‘ড্রাগনফ্লাই ক্লাব’-এ কোভিড বিধিভঙ্গ মেনে পার্টি করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় ৩৪ জনকে। রায়না, গুরু রনধাওয়া ছাড়াও তাঁদের মধ্যে ছিলেন হৃতিক রোশনের স্ত্রী সুজান খানও। ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক বাদশাও। তবে পুলিশি হানার খবর পেয়ে পিছনের দরজা দিয়ে বাদশা পালিয়ে যান বলে দাবি। কিন্তু বাকিদের গ্রেপ্তার হতে হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সরকার নির্ধারিত সময়ের পরেও ওই নাইট ক্লাবে থাকার। অবশেষে সেই অভিযোগ তুলে নিল উদ্ধব ঠাকরের সরকার।