সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের অচলাবস্থা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra)। মহুয়া বলছেন, লোকসভায় স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) শুধুই বিজেপি সদস্যদের বলার সুযোগ দিচ্ছেন। তারপরই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হচ্ছে। গত ৩দিনে একবারও সংসদে কোনও বিরোধী নেতাকে বলতে দেওয়া হয়নি।
বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) করা মন্তব্য এবং আদানি ইস্যুতে লাগাতার বিরোধী শিবিরের বিক্ষোভে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল সংসদ। দফায় দফায় অধিবেশন মূলতুবি করে দিতে হচ্ছে স্পিকারকে। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁরা সংসদে মানুষের ইস্যু তুলে ধরার চেষ্টা করলেও সেই সুযোগ তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। মহুয়া বলছেন, “গত ৩ দিনে একজন বিরোধী নেতাকেও সংসদে বলতে দেওয়া হয়নি। গণতন্ত্র আক্রান্ত। আর এই আক্রমণের নেতৃত্বে আছেন খোদ স্পিকার। এই অভিযোগ করার জন্য যদি আমাকে জেলে যেতে হয়, তাতেও আমি রাজি আছি।”
[আরও পড়ুন: বুটিক ও পার্টনারশিপে প্রোমোটিং ব্যবসার হদিশ, ইডি’র স্ক্যানারে শান্তনুর স্ত্রীর বিপুল সম্পত্তি]
একা মহুয়া নন, সার্বিকভাবে তৃণমূল নেতৃত্বই সংসদের অচলাবস্থা নিয়ে সরব। তৃণমূলের অভিযোগ, শাসক বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী কংগ্রেস (Congress) সম্মিলিতভাবে সংসদ অচল করে রাখতে চাইছে। যদিও বুধবার সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ করে তৃণমূল সংসদীয় দল। তবে সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) অভিযোগ, অধিবেশনে শাসকদল বিজেপি ও কংগ্রেস সাধারণ মানুষের সমস্যা তুলতে বাধা দিচ্ছে। কারণ এই দুই দল মিলে অধিবেশন চলতে দিচ্ছে না। যদিও মাইক বন্ধ করে বিরোধীদের বলতে না দেওয়ার অভিযোগ শুধু তৃণমূলের নয়। একই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীও।
[আরও পড়ুন: মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার মামলা: ‘তদন্তের নামে লুকোচুরি খেলবেন না’, ক্ষুব্ধ হাই কোর্ট]
উল্লেখ্য, বুধবার আদানি কাণ্ডে তদন্তের দাবিতে সংসদ উত্তাল করে দেয় বিরোধীরা। এমনকী, সংসদ থেকে বিরোধী দলগুলির প্রায় শ’দুয়েক সাংসদ ইডি (ED) অফিসেও অভিযান করেন। যদিও সেই অভিযান সংসদের বাইরেই রুখে দেয় দিল্লি পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই অভিযানেও যোগ দেয়নি তৃণমূল।