নন্দন দত্ত, সিউড়ি: আরও একবার নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি করল বগটুই কাণ্ডের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী আনারুল হোসেন (Anarul Hossain)। বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট থেকে সিউড়ি সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করার সময় এই দাবি করে সে। সিউড়ি সংশোধনাগারে যাওয়ার সময় তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আনারুল জানায়, “সময়মতো ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বলব। সব পর্দাফাঁস হয়ে যাবে।”
বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট মহকুমা আদালতের নির্দেশে রামপুরহাট থেকে সিউড়ি জেলা সংশোধনাগার নিয়ে যাওয়ার সময় মুখ খোলেন বগটুই কাণ্ডের (Bagtui Incident) মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি করে সে। তিনি আরও বলেন, “আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। সময় আসলে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বলব।” ঠিক কী ইঙ্গিত করতে চাইলেন তিনি, সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: মহিষাসুর নয়, এবার ‘রোরাসুর’রূপী রোদ্দুর রায়কে বধ করবেন দেবী দুর্গা, কলকাতার পুজোয় চমক]
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। তারপরেই বগটুই গ্রামে শিশু-সহ মোট দশজনকে পুড়িয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সমবেদনা জানাতে এলাকায় যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বগটুই গ্রামে দাঁড়িয়ে তৎকালীন রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বগটুই কাণ্ডের তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত ২০ জুন রামপুরহাট আদালতে চার্জশিটে আনারুল হোসেনের নাম উল্লেখ করে সিবিআই। যদিও আনারুলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে আনারুল হোসেনের কোনও যোগ নেই। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।
তবে আনারুল বারবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে। তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে দোষারোপ করেনি আনারুল। তবে বৃহস্পতিবার প্রথমবার ষড়যন্ত্র ফাঁসের হুমকি দেয় আনারুল। যা নিয়ে ইতিমধ্যে কানাঘুষো শুরু হয়েছে। এবার কি তবে কোনও প্রভাবশালী নেতার নাম সামনে আসবে, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।