সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ফের নিকেশ ভারতবিরোধী। রবিবার অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয় সরবজিৎ সিং খুনে প্রধান অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তাম্বা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, ভারতের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে জেলবন্দি ছিলেন সরবজিৎ (Sarabjit Singh)। সহবন্দিদের হাতেই খুন হন তিনি।
জানা গিয়েছে, জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল তাম্বা। ১৯৭৯ সালে লাহোরে জন্ম হয় তার। একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার জেরে জেলে ঠাঁই হয়। ভারতীয় সরবজিতের জেলেই বন্দি ছিল তাম্বাও। সেখানে মুদাসির মুনির নামে আরও এক বন্দির সঙ্গে মিলে সরবজিতকে ইট ও অন্যান্য ভারী হাতিয়ার দিয়ে মারধর করত সে। যদিও বছর ছয়েক আগে তাম্বা ও মুনিরকে বেকসুর খালাস করে পাকিস্তানের একটি আদালত। এই রায়ে ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী আবহে অভিষেকের হেলিকপ্টার থামিয়ে আয়কর তল্লাশি! কী মিলল?]
এই রায়ের পরেই জেল থেকে মুক্তি পায় তাম্বা। জেল থেকে বেরনোর পরে লাহোরেই থাকত সে। জানা গিয়েছে, রবিবার লাহোরের ইসলামপুরা এলাকায় ভোরবেলা বাইকে চেপে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় আসে। তাম্বাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। গুরতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাম্বাকে। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তার। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে গত দুবছরে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে ভারতের হিটলিস্টে থাকা অন্তত বারো জন জেহাদি। এবার সরবজিতের খুনে মূল অভিযুক্তও নিকেশ হল একই কায়দায়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে ভুলবশত কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছিলেন সরবজিৎ। তখনই সেদেশে এক বিস্ফোরণের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাক পুলিশ। সেই অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল পাক আদালত। এরপর ভারতের থেকে বহুবার বহু আবেদন করেও লাভ হয়নি। তাঁর দিদি দলবীর কৌর ভাইকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালে জেলে অত্যাচারের শিকার হয়ে সরবজিতের মৃত্যু হয়।