সুব্রত বিশ্বাস: বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটাটা অস্বাভাবিক ছিল না। ইঞ্জিন ছাড়াই ছুটল যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি ও মালগাড়ির একটি ওয়াগন! কামরাগুলির এমন অদ্ভুতুড়ে অবস্থা দেখে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনা পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের বারহারোওয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেলের আধিকারিকরা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। যদিও মালদহের ডিআরএম বিকাশ চৌবে জানিয়েছেন, এটা সান্টিং হচ্ছিল। ইয়ার্ড এলাকা ছিল। সাধারণ ট্রেন চলাচলের লাইন না।
রেল সূত্রে খবর, গত ১০-১৫ দিন ধরে রেক ল্যান্ডিং ট্র্যাকে একটি মালগাড়ির একটি বগি রাখা ছিল। ওই ট্র্যাকেই যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি কোচ রাখা হয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণের জন্যেই এই কোচগুলি রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। হঠাৎই মালগাড়ির একটি বগি ট্র্যাকের উপর চলতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ওই লাইনেই ট্রেনের চারটি বগিকে সজোরে ধাক্কা দেয় সেই ওয়াগনটি। জোরে ধাক্কা খেয়ে সব ক’টি বগি রেললাইনের উপর দিয়ে চলতে শুরু করে। একেবারে ইঞ্জিন ছাড়াই বগিগুলি দ্রুত চলতে শুরু করে।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে নিহত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, সদ্য সন্তানহারা মাকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস]
শুধু তাই নয়, বারহাদওয়া-রাজমহল রোড পেরিয়ে প্রায় ২০০ মিটারেরর বেশি চলে যায় বগিগুলি। এসময় গাড়ি চলাচলকারী গাড়ি ও মানুষের ভিড়ে ঠাসা খোলা লেভেলক্রসিংও পড়েছিল। তবে কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটেনি। এভাবেই স্টেশনের একেবারে প্ল্যাটফর্মের কাছে পৌঁছে যায়। মূল প্লাটফর্মে ঢুকে পড়লেও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকী সেই সময় স্টেশন দিয়ে কোনও যদি প্যাসেঞ্জার ট্রেন যেত তাহলেও বড়সড় দুর্ঘটনার ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তার আগেই নিজের থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনের বগিগুলি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাইনের পাশে ভিড় জমে যায়। অনেকেই এই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে। ঘটনার পরেই রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।
কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার বারহারোয়া স্টেশনে। ডিআরএম চৌবের কথায়, সান্টিংয়ের সময় একবার ট্রেনগুলির সংযোগ না ঘটায় তা চলতে থাকে। তবে দ্বিতীয় বারে সংযোগ করা হয়। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।