বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: সেজে উঠেছে উত্তরবঙ্গ। জি-২০’র টুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে যোগ দিতে শিলিগুড়ি পৌঁছছেন দেশ-বিদেশের অতিথিরা। তাঁদের আপ্যায়নের অভিনব আয়োজন করা হয়েছিল। ঠিক ছিল, শনিবার সন্ধেয় চাঁদের আলোয় পাহাড়ের কোলে চা বাগানে পাতা তোলা দেখানো হবে বিদেশি অতিথিদের। প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় চাঁদের দেখা মেলেনি। মশালের আলো জ্বেলেও বেশিক্ষণ চা তোলা দেখানো সম্ভব হয়নি। যদিও বিশ্বমানের চা উৎপাদনকারী মকাইবাড়ি চা বাগানের কারখানায় চা তৈরি দেখেন বিদেশি অতিথিরা।
রবিবার সকালে বিলাসবহুল রিসর্টে আয়ুষ মন্ত্রকের উদ্যোগে যোগাভ্য়াস অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ৪০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এরপর কেন্দ্রীয় পর্যটন, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন মন্ত্রী (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) জি কিষাণ রেড্ডি হিমালয়ান কার র্যালির ‘ফ্ল্যাগ অফ’ করেন। এরপর শুরু হয় পর্যটন নিয়ে মূল আলোচনা। কেন্দ্রীয় পর্যটন, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন মন্ত্রী দেশের ভৌগোলিক অবস্থার সুবিধা নিয়ে ভারতে অ্যাডভেঞ্চার টুরিজমকে উৎসাহিত করার উপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “ভারতের সমৃদ্ধ ভৌগোলিক পরিস্থিতিতে অ্যাডভেঞ্চার টুরিজম বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এখানে ৭ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি উপকূলরেখা, ৭টি বড় নদী, ৭০ হাজার কিলোমিটার মরুভূমি, ৭০০টি অভয়ারণ্য, ১৬টি বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: শক্তিগড় শুটআউট: জামালপুরের কাছে মিলল আততায়ীদের গাড়ি! রেলপথে পালাল দুষ্কৃতীরা?]
উৎসবের আবহে উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে তিনদিনের ‘জি-২০ সেকেন্ড টুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপ মিটিং’। শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ে বৈঠকে পর্যটন এবং অ্যাডভেঞ্চার টুরিজমের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা চলছে। শনিবার সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে যান জি-২০ সদস্য সিঙ্গাপুর, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, ওমান, কোরিয়ার মতো আটটি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অন্য প্রতিনিধিরা। বিদেশী অতিথিদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্র। সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অতিথিদের নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ির নিউ চামটা চা বাগানের রিসর্টে। সেখানে উত্তরের বর্ণময় লোকনৃত্যের ছন্দে বিদেশী অতিথি বরণ করেন শিল্পীরা। এরপর পাঙখাবাড়ি সড়কপথে কার্শিয়াংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বিদেশি প্রতিনিধিদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হবে বাংলার হস্তশিল্পের নমুনা। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এজন্য বিভিন্ন জেলা থেকে স্মারক সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে।