সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদের একটি মামলায় নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court)। বাড়ন্ত বিচ্ছেদ এবং দম্পতির একে অপরের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার প্রসঙ্গে বিচারপতির বক্তব্য, বিয়ের আগে ‘বিবাহপূর্ব চুক্তি’র সময় হয়েছে। ওই চুক্তি যুগলকে বিয়ের ঝুঁকির দিকটি সম্পর্ক সচেতন করবে। এর ফলে বিয়ে করে পস্তাতে হবে না যুগলকে।
দিল্লি হাই কোর্টে বিচ্ছেদের মামলাটি উঠেছে বিচারপতি হরিশ কুমারের বেঞ্চে। ২০১১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) বাসিন্দা যুগল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই উভয়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। স্বামী এবং স্ত্রী বিচ্ছেদ চাইলেও সমঝোতায় বিচ্ছেদে রাজি নন তাঁরা। এই মামলাতেই নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণ আদালতের।
বিচারপতি হরিশ কুমারের বক্তব্য, বিবাহপূর্ব চুক্তির সময় হয়েছে। বিবাহ বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে উভয়পক্ষের কাউন্সেলিং হওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে একটি বাধ্যতামূলক বিবাহপূর্ব চুক্তি সম্পাদন করার সময় হয়েছে। যা না মানলে ভবিষ্যতে তাঁদের (যুগল) কথা শুনবে না আদালত এবং প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ।
বর্তমান মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালে দম্পতির সন্তান হওয়ার আগেও মতপার্থক্যের জেরে উভয়ের মধ্যে নিত্য কলহ চলত। এমনকী একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশও করেন। ২০১৬ সালেই নিম্ন আদালতে বিচ্ছেদের মামলা করেন স্বামী। পালটা গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই বিচ্ছেদ চাইলেও সমঝোতায় তা করতে রাজি নন তাঁরা। এর জেরেই বিবাহপূর্ব চুক্তির গুরুত্ব সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ আদালতের।