বাবুল হক, মালদহ: টিভির রিমোট নিয়ে খেলতে খেলতে পেনসিল ব্যাটারি গিলে ফেলেছিল তিন বছরের দুধের শিশু। অস্ত্রোপচার করে সেই ব্যাটারি বের করে চিকিৎসায় বড়সড় সাফল্য পেল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Maldah Medical College)। চিকিৎসকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শিশুর পরিবার ও আত্মীয় স্বজন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুর থানার বুলবুলচণ্ডীর কেন্দুয়া এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিত সরকার। পেশায় স্কুল শিক্ষক। তাঁরই তিন বছরের ছেলে অনীক সরকার টিভির রিমোট নিয়ে খেলা করছিল। বাড়ির লোকজনের অগোচরেই হঠাৎ রিমোটের মধ্যে থাকা পেনসিল ব্যাটারি মুখের ভিতর ঢুকিয়ে ফেলে সে। তা সরাসরি পেটের ভিতরে ঢুকে যায়। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটপট করতে থাকে অনীক। তড়িঘড়ি বাড়ির লোকরা শিশুটিকে বুলবুলচনণ্ডী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরিস্থিতি জটিল ভেবে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখান থেকে বাচ্চাটিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
[আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের শেষেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে, আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী]
তারপর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডা. পার্থপ্রতিম মণ্ডল ওই শিশুকে দেখেন। তড়িঘড়ি এক্স-রেও করানো হয়। তাতেই ব্যাটারির ছবি ধরা পড়ে। তারপরই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার রাতে চল্লিশ মিনিটের অপারেশনে সাফল্য পান চিকিৎসকরা। চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রোফেসর পার্থপ্রতিম মণ্ডল। তাঁর কথায়, "শিশুটির অ্যান্টি স্টমাকে ব্যাটারিটি আটকে ছিল। মিনি ল্যাপ্রোস্কপি করে ওই ব্যাটারি বের করা হয়েছে। তিন বছরের শিশু এখন সুস্থ। তবে আপাতত চিকিৎসাধীন।"
বাবা সঞ্জিত সরকার বলেছিলেন, "ঘটনার সময় বাড়িতেই অন্য একটি ঘরে ছিলাম। পাশের ঘরে ছেলে রিমোট নিয়ে খেলা করছিল। সেই সময় পেনসিল ব্যাটারিটি গিলে ফেলে ছেলে। কান্নাকাটি শুনে আমরা ছুটে যাই। মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা যেভাবে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে ছেলেকে বাঁচিয়ে তুলেছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।"