সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কূটনীতির কুটিল খেলায় আচমকাই ভারতের (India) সঙ্গে প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের (Maldives) সম্পর্কের অবনতি ঘটে গিয়েছে। একদা ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র এখন কার্যত যুযুধান। দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার নিয়ে নয়াদিল্লির উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (President Md. Muizzu)। মে মাসের মধ্যে তা করতে হবে বলে বেঁধে দিয়েছিলেন সময়সীমাও। পালটা ভারতের তরফেও জানানো হয়, মালদ্বীপের সাধারণ নাগরিকদের স্বার্থে সেনা (Army) সরিয়ে সেখানে সমসংখ্যক ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ রাখা হবে। এনিয়ে টানাপোড়েনের মাঝে মুইজ্জুকে কার্যত ‘মিথ্যাবাদী’ বললেন সে দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ। X হ্যান্ডলে পোস্ট করে বর্তমান প্রেসিডেন্টকে একহাত নিয়েছেন তিনি।
মালদ্বীপের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘এটুকু পরিষ্কার যে, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ‘হাজার হাজার ভারতীয় সেনা’র উপস্থিতি নিয়ে যে দাবি করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর দীর্ঘ মিথ্যার তালিকায় এটি আরেক সংযোজন। বর্তমান প্রশাসন সঠিক পরিসংখ্যান দিতে ব্যর্থ। এই মুহূর্তে দেশে কোনও বিদেশি সশস্ত্র সেনা নেই। স্বচ্ছতা বজায় থাকুক, সত্যিটা একদিন সবাই জানবে।’’ এক পরিসংখ্যান অনুযায়ীয়, হাজার দূর অস্ত, শতাধিক ভারতীয় সেনাও নেই দ্বীপরাষ্ট্রে। ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়ে ভারতের উপর অযথা চাপের খেলা খেলতে চাইছেন মুইজ্জু, এমন কথা বলছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
[আরও পড়ুন: জমি লুটের অভিযোগ, রাতভর জেরার পর গ্রেপ্তার বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি]
আসলে ২০২৩ সালে মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ‘চিনপন্থী’ বলে পরিচিত। ফলে চিনের পথে হেঁটেই তাঁর এই ভারত বিরোধিতা বলে স্পষ্ট আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। তার উপর আগুনে ঘি পড়েছে গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) সফর নিয়ে মালদ্বীপের মন্ত্রীর কটাক্ষ। তার জেরেই মূলত দু দেশের সম্পর্কের অবনতি শুরু এবং ভারতীয় সেনা সরানোয় মুইজ্জুর ‘চাপ’। কিন্তু তাঁর এই সমস্ত পদক্ষেপই মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে বলে জোর দাবি তুললেন সে দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী।